দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইপিএলের দ্বিতীয় এলিমিনেটরে মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস এবং সানরাইজেস হায়দ্রাবাদ। আজকের ম্যাচের জয় যে কোনো দলকেই এনে দিতে পারে ফাইনালের টিকিট। তাই দুজনের কাছেই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার।
শুরুটা ভালোই হয়েছিল দিল্লির জন্য। সন্দীপ শর্মার বলে একটি বড় জীবন দান পেলেও আজ তার সম্পূর্ণ ফায়দা তোলার চেষ্টা করেন ওপেনিংয়ে আসা মার্কাস স্টয়নিস। লাগাতার ভাল ফর্মের কারণেই এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকে ওপেনিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দিল্লি শিবির। শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে জুটি বেঁধে আজ সেই সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ মর্যাদা রাখেন স্টয়নিস। জুটিতে তিনিই ছিলেন বেশি আক্রমণাত্মক। সন্দীপ শর্মা জেসন হোল্ডারের মতো অভিজ্ঞ বোলারকেও আজ তার সামনে দিশাহারা মনে হয়। অন্যদিকে স্পিনার শাহবাজ নাদিমের বিরুদ্ধেআক্রমণ শুরু করেন শিখর ধাওয়ানও।
তাদের এই মারমুখী ব্যাটিংয়ের সামনে হায়দ্রাবাদকে ম্যাচে ফেরাতে আজ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হতো রাশিদ খানকে।বরাবরের মতো এবারও নিজের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।নবম ওভারে মারমুখী স্টয়নিসকে বোল্ড করে দিল্লিকে আবার কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে দেন রাশিদ।ফলে মাত্র ২৭ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ৩৮ রান সংগ্রহ করেই শেষ হয়ে যায় স্টয়নিসের ইনিংস। তবে অন্যদিকে বড় মঞ্চের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন শিখর ধাওয়ান। মাত্র ২৬ বলে নাদিমের বলে ওভার বাউন্ডারি তুলে নিয়ে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। পাঁচটি চার ও দুটি ছয় দিয়ে আজ নিজের অর্ধশতক সাজিয়েছিলেন গব্বর শিখর।
অর্ধশতক পূর্ণ করেও আজ বিন্দুমাত্র নিজের মেজাজ হারাননি তিনি। লক্ষ্য যে বড় রান আজ তা পরিষ্কার বুঝিয়ে দেন শিখর। তবে অন্যদিকে আজ তেমন সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক আইয়ার। ১৯ বলে ২১ রান করেই রানের গতি বাড়াতে গিয়ে হোল্ডারের বলে মনীশ পান্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। তবে আজ ব্যাটিংয়ে এসেই মারমুখী শুরু করেন সিমরান হেটমায়ার। বেশকিছু বড় শট তুলে নিয়ে শিখরের উপর থেকে চাপ অনেকটাই কমানোর চেষ্টা করেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সতীর্থ জেসন হোল্ডারও আজ রেহাই পাননি তার মার থেকে। শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ৭৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে সন্দীপ শর্মার শিকার হন শিখর ধাওয়ান। তবে অন্য প্রান্তের উইকেট পতনও আজ কেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি হেটমায়ারের উপর।
শেষ পর্যন্ত মাত্র ২২ বলে চারটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ৪২ রানের যে ইনিংস খেলেন তিনি তার সৌজন্যেই ১৮৯ রানের বিশাল স্কোরে পৌঁছে যায় দিল্লি।
এই বিশাল টার্গেট তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নেওয়া যে মোটেই সহজ হবে না হায়দ্রাবাদের পক্ষে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আজ জিততে চাইলে অবশ্যই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে ডেভিড ওয়ার্নারকে।