দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইপিএলের দ্বিতীয় এলিমিনেটরে মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস এবং সানরাইজেস হায়দ্রাবাদ। আজকের ম্যাচের জয় দুই দলকেই এনে দিতে পারে ফাইনালের টিকিট। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার।
বড় ম্যাচে আজ আবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন শিখর। তার ৫০ বলে ৭৮, স্টয়নিসের ৩৮ এবং সিমরান হেটমায়ারের বিধ্বংসী ৪২ রানের ইনিংসের দৌলতে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ১৮৯ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা খাড়া করে দিল্লি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিংয়ে আজ চমক ছিল হায়দ্রাবাদের তরফেও। সাহা না থাকায় আজ ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গ দেন তরুণ প্রিয়ম গর্গ।কিন্তু আজ বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেনি ওয়ার্নার। মাত্র ২ রানেই তাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান রাবাডা। আজ স্টয়নিসের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি প্রিয়ম এবং মনীশও।একই ওভারে পরপর দুজনকে ফিরিয়ে হায়দ্রাবাদের টপ অর্ডারের কোমর ভেঙে দেন তিনি। প্রথমে ভিতরে ঢুকে আসা বল সামলাতে ব্যর্থ হন প্রিয়ম এবং ওভারের শেষ বলে গতির ফারাক বুঝতে না পেরে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বসেন মনীশ।
ফলে মাত্র ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় হায়দ্রাবাদ এবং লক্ষ্য তাড়া করার সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে উইলিয়ামসন এবং হোল্ডারের কাঁধে।নিজেদের দায়িত্ব আর সাধ্যমত পূরণ করার চেষ্টা করেন তারা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেভাবে মর্যাদা না পেলেও আজ শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন উয়িলিয়ামসন। বিশেষত রাবাডার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র টাইমিংয়ের সাহায্যে যেভাবে বড় ছয় তুলে নেন তিনি তা ছিল সত্যিই অনবদ্য। শুধু জোরে বোলিং নয় স্পিনারদের বিরুদ্ধেও আজ একইরকম সক্রিয় ছিলেন উইলিয়ামসন।
কিন্তু আজ বেশিক্ষণ সাথ দিতে পারেননি হোল্ডার। আক্সার প্যাটেলের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে মাত্র ১১ রানেই ফিরতে হয় তাকে। কিন্তু নিজের ব্যাটিংয়ে উইকেট পতনের কোন প্রভাব আজ পড়তে দেননি উইলিয়ামসন। মাত্র ৩৫ বলে চারটি ছয় ও দুটি চারের সাহায্যে নিজের বিধ্বংসী অর্ধশতক পূর্ন করেন তিনি।
অন্যদিকে নকিয়ার সামনে মারমুখী হয়ে ওঠেন সামাদও। ১৬ তম ওভারে পরপর দুটি চার ও একটি ছয় তুলে নেন তিনি। কিন্তু ১৭ তম ওভারে দিল্লিকে আবার ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন স্টয়নিস। তার বলে বড় শট নিতে গিয়ে পাঁচটি চার ও চারটি ছয় দিয়ে সাজানো ৬৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ফিরে যেতে হয় উইলিয়ামসনকে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাটি কামড়ে লড়াই করার চেষ্টা করেন আব্দুল সামাদ। রাবাডার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে অবধি ১৬ বলে দুটি ছয় ও দুটি চারের সাহায্যে ৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস উপহার দেন তিনি। একই ওভারে রাশিদ খানকে ফিরিয়ে হায়দ্রাবাদের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন রাবাডা। হ্যাটট্রিক না করতে পারলেও একই ওভারে শ্রীবৎস গোস্বামীকেও ফিরিয়ে দেন তিনি। রাবাডা এবং স্টয়নিসের এই দুরন্ত বোলিংয়ের দৌলতে হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে ১৭ রানের সহজ জয় তুলে নিয়ে ফাইনালের টিকিট বুক করে ফেলে দিল্লি।