দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ওমেন টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ট্রেলব্লেজার্স এবং সুপারনোভাজ। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন সুপারনোভা অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর।
আজ ডটিন সেভাবে ফর্মে না থাকলেও আজ অধিনায়ক কিছুতে ইনিংস উপহার দেন স্মৃতি মান্ধনা। ডটিনের সাথে জুটি বেঁধে বড় মঞ্চে আজ জ্বলে ওঠেন তিনি। দ্বাদশ ওভারে পুনম যাদবের বলে ৩২ বলে ২০ রানের মন্থর ইনিংস খেলে ডটিন আউট হলেও আজ রানের গতি বজায় রাখার চেষ্টা করেন মান্ধনা। পেস-স্পিন দুই তরফেই আজ সমান আক্রমণ বজায় রেখে মাত্র ৪৯ বলে পাঁচটি চার ও তিনটি ছয় দিয়ে সাজানো বিধ্বংসী ৬৮ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে বড় রানের টার্গেট খাড়া করতে সাহায্য করতে পারেননি মান্ধনা। তানিয়া ভাটিয়ার অসাধারণ স্টাম্পিংয়ের সৌজন্যে শশীকলার বলে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
ফলে ইনিংস শেষ করার সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে দীপ্তি শর্মা এবং রিচা ঘোষের উপর। বড় টার্গেট দিতে হলে তাদের দরকার ছিল বড় রানের ওভার। কিন্তু ১৮ তম ওভারে রাধা যাদবের বলে বড় শট নিতে গিয়ে সীমানা ধারে ধরা পড়েন দীপ্তি শর্মা। একই ওভারে চামারির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রিচা ঘোষও। মান্ধনা অসাধারণ ইনিংস খেললেও বাকি খেলোয়াড়দের রান তোলার গতি মন্থর হওয়ায় বড় টার্গেট সেট করার ক্ষেত্রে চাপে পড়ে যায় ট্রেলব্লেজার্স।
গত ম্যাচের ফর্ম আজ সেভাবে বজায় রাখতে পারেননি একলসটনও।রাধা যাদবের শেষ ওভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাকেও। একই ওভারে হার্লিন এবং ঝুলনকেও ফিরিয়ে দেন রাধা। তার পাঁচ উইকেটের সৌজন্যেই মাত্র ১১৮ রানেই শেষ হয়ে যায় ট্রেলব্লেজার্সের ইনিংস। শেষ বলে রানআউট হয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দেন ছানতাম।