দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ দুবাইয়ে বহু প্রতীক্ষিত আইপিএল ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। গুরুত্বপূর্ণ টস জিতে প্রথম ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার।
আজ ১৩ বছরের প্রথম ফাইনালে পৌঁছানো দিল্লির কাছে সুযোগ ছিল প্রথমে ব্যাটিং করে বড় রান খাড়া করে মুম্বাইকে চাপে ফেলে দেওয়ার। কিন্তু ফাইনালের প্রথম বলেই দুরন্ত ফর্মে থাকা মার্কাস স্টয়নিসকে ফিরিয়ে দেন ট্রেন্ট বোল্ট।তার আউটসুইং সামলাতে না পেরে খাতা খোলার আগেই কুইন্টন ডি ককের দস্তানাবন্দী হন স্টয়নিস। তবে অন্যদিকে আজও আক্রমনাত্মক শুরু করেন শিখর। বুমরাহ এবং বোল্টের আগুন ঝরানো বোলিংয়ের সামনেও একের পর এক আত্মবিশ্বাসী শট আসে তার ব্যাট থেকে। কিন্তু তৃতীয় ওভারে স্পেলে ফিরেই অজিঙ্কা রাহানেকেও সাজঘরে ফেরান বোল্ট।
অন্যপ্রান্তে লাগাতার উইকেট পতনের জেরে আজ চাপে পড়ে যান শিখরও।জয়ন্ত যাদবের বলে স্লগ স্যুইপ খেলতে গিয়ে ১৫ রানেই বোল্ড হন তিনি। বড় মঞ্চে আজ সম্পূর্ণ দায়িত্ব এসে পড়ে অধিনায়ক আইয়ার এবং পান্থের কাঁধে। উইকেট পতন সত্ত্বেও শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ছিলেন শ্রেয়াস। সারা টুর্নামেন্ট জুড়ে সেভাবে রান না পেলেও আজ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে ওঠেন পান্থও। মাত্র ৩৮ বলে দুটি ছয় ও দুটি চারের সাহায্যে গুরুত্বপূর্ণ ৫৬ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি। ১৫ তম ওভারে কুন্টারনাইলের বলে আউট হলেও প্রথম ধাক্কা তখন অনেকটাই সামলে ফেলেছে দিল্লি।
অন্যদিকে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন আইয়ারও।বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আজ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একের পর এক বাউন্ডারি তুলে নেন তিনি। বুমরাহ এবং বোল্টের সামনেও আজ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লড়াই করেন আইয়ার।তবে অন্যদিকে আজ তেমনভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি হেটমায়ার। মাত্র ৫ রানে তাকে ফিরিয়ে দিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট শিকার করেন বোল্ট।
শেষপর্যন্ত আইয়ারের ৫০ বলে চারটি চার ও তিনটি ছয় দিয়ে সাজানো ৬৫ রানের ইনিংসের দৌলতেই ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৬ রানেই শেষ হয়ে যায় দিল্লির ইনিংস। ভালো কামব্যাক করলেও মুম্বাইয়ের সামনে এই রান যে মোটেই যথেষ্ট নয় এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।