দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ দুবাইয়ে বহু প্রতীক্ষিত আইপিএল ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। গুরুত্বপূর্ণ টস জিতে প্রথম ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার।
তবে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি দিল্লির জন্য। বোল্ট এবং জয়ন্তের দুরন্ত বোলিংয়ে স্টয়নিস, শিখর এবং রাহানেকে হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় তারা। শেষপর্যন্ত পান্থের ৫৬ এবং আইয়ারের অধিনায়কোচিত ৬৫ রানের ইনিংসের দৌলতেই ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৬ রানেই শেষ হয়ে যায় দিল্লির ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আত্মবিশ্বাসী শুরু করেন মুম্বাই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং কুইন্টন ডি কক। রাবাডা নকিয়া এবং অশ্বিনকেও আজ অত্যন্ত সাধারণ মনে হয় তাদের সামনে। তবে পঞ্চম ওভারে মাত্র ২০ রানে ডিকককে ফিরিয়ে দিল্লিকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন স্টয়নিস। কিন্তু উইকেট পতনকে বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে একই ওভারে পরপর একটি ছয় এবং একটি চার তুলে নিয়ে রানের গতি বজায় রাখেন সূর্যকুমার। শ্রেয়াসের মত আজ সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন রোহিতও।গত দুই ম্যাচে সেভাবে রান না পেলেও আজ বড় মঞ্চে জ্বলে ওঠেন তিনি। কিন্তু একাদশ ওভারে হঠাৎ ঘটে ছন্দপতন। ১৭ রানে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে ফিরে যান সূর্য কুমার যাদব।
তবে আজ সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন রোহিত। মাত্র ৩৬ বলে চারটি ছয় ও তিনটি চার দিয়ে সাজানো অর্ধশতক পূর্ন করেন তিনি।হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরেই আজ বিধ্বংসী হিটম্যান রূপ ধারণ করেন রোহিত। যোগ্য সঙ্গত দেন ঈশান কিশানও।শেষ অবধি ৫১ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে নকিয়ার বলে রোহিত আউট হলেও ম্যাচ তখন অনেকটাই মুম্বাইয়ের দখলে। জয়ের জন্য তখন দরকার ছিল মাত্র ২০ রান।মাঠে এসেই দুরন্ত দুটি বাউন্ডারি মেরে ব্যবধান কমিয়ে দেন পোলার্ড। যদিও আজ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি তারে ইনিংস। ১৮ তম ওভারে তাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান রাবাডা।
কিন্তু জয়ের জন্য বাকি রান তুলে নিতে আর কোনো অসুবিধা হয়নি ক্রণাল পান্ডে এবং ঈশান কিশানের। মাত্র ১৯ বলে তিনটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে গুরুত্বপূর্ণ ৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন ঈশান কিশান। এই জয়ের ফলে পঞ্চমবার আইপিএল খেতাব নিজেদের নামে করলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।