দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আইপিএল চলাকালীন ম্যাচ অ্যানালিসিসের সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ছেলেবেলার গল্প শেয়ার করছিলেন ভারতের তারকা ওপেনার বীরেন্দ্র সেওয়াগ। আজ নিজের ছোটবেলার স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বিরু বলেন কিভাবে শুরু হয়েছিল তার ক্রিকেট।
ছোটবেলায় মায়ের কাছে ক্রিকেট ব্যাটের জন্য বায়না করেছিলেন বীরু। নজতবরে তখন নিজের পাড়ায় হকি, ভলিবল, ফুটবল , চপ্পল চপলাই এ ধরনের নানান খেলায় মেতে থাকতেন ছোট্ট বীরেন্দ্র সেওয়াগ। মায়ের দেওয়া প্লাস্টিকের ব্যাট দিয়েই ক্রিকেট শুরু করেন বীরু। তবে সে ক্রিকেট মোটেই সিরিয়াসলি খেলা ছিল না। আনন্দের মাথাটাই তখন ছিল আসল।




কিন্তু মাধ্যমিকের পরেই ক্রিকেটকে সিরিয়াসলি নিতে শুরু করেন বীরু।আজ তার মুখ থেকে শোনা গেল সেই গল্প। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “ওই সময়ে আমাকে কেউ বীরু বা বীরেন্দ্র সেওয়াগ বলতো না, আমার ডাকনাম ছিল ভোলি।খুব চার ছয় মারতাম বলে পাড়ার দাদারা আমাকে সমস্ত টুর্ণামেন্টে নিয়ে যেত। বলতো নিচের দিকে কাজে আসবে। সেই সময় নজতবরে বিজয় পাল টুর্নামেন্ট হত। সেই টুর্ণামেন্টে আমি প্রথম ৫০ রান করেছিলাম।খেলা কভার করতে আসা এক সাংবাদিককে বলেছিলাম আমার নাম যেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ লেখা না হয়। কারন লোকে আমাকে ভোলি বলেই চেনে। এরপর দশম শ্রেণী পাস করার পর থেকে আমি ক্রিকেটকে সিরিয়াসলি নিতে শুরু করি।নজতবরে তখন একটা ক্লাব ছিলো যার নাম সারমাউন্ট ক্রিকেট ক্লাব। আমি সেখানে যাই, কোচ শশীকালে আমাকে জিজ্ঞেস করেন তুমি কি করতে পারো? আমি জানাই আমি সব করতে পারি। প্রথম দিন আমাকে ফাস্ট বোলিং দেওয়া হয়, দ্বিতীয় দিন আমাকে স্পিন বোলিং করতে দেওয়া হয় তৃতীয় দিন আমি উইকেটকিপিং করি এবং চতুর্থ দিন তিনি আমায় ব্যাটিং দেন।”


সেওয়াগ আরো বলেন, “আমার ব্যাটিং দেখে তিনি বলেন তোমার দিল্লি গিয়ে কোচিং নেওয়া উচিত। তখন তিনি আমাকে এ এন শর্মার কাছে পাঠান। তিনিও আমাকে প্রথম তিনদিন ব্যাটিং দেননি, আমাকে শুধুমাত্র ফিল্ডিং করানো হয়। চতুর্থ দিন মাত্র ৬ বল ব্যাটিং করার পরেই আমাকে ডেকে নেন তিনি। আমি আর অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি সকলে ১২,১৩ মিনিট ব্যাটিং করছে আমার জন্য মাত্র ছটি বল কেন? তিনি বলেন আমি দেখতে চেয়েছিলাম তুমি বর্ষার ব্যাং কিনা। অর্থাৎ যারা হঠাৎই ক্রিকেট খেলতে আসে আবার হঠাৎই ছেড়ে চলে যায়। তুমি সেরকম নয় তোমাকে আমি কোচিং দেবো, যদি তুমি বোর্ড এক্সাম পাস করে এই স্কুলে আসতে পারো।”


এভাবেই শুরু হয়েছিল বীরেন্দ্র সেওয়াগের ক্রিকেট জীবন অনূর্ধ্ব ১৪, ১৫ বা ১৭ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। কিন্তু হতাশ হয়ে ক্রিকেট ছেড়ে দেননি সেদিনের ছোট্ট ভোলি।আর তাই সারা বিশ্বের ওপেনারদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ওপেনার হিসেবে তার নাম আজও স্বর্ণাক্ষরে লেখা।
https://www.facebook.com/130561483625985/posts/4174661382549288/?d=null&vh=e