দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ লকডাউনের পর ক্রিকেট ফিরতেই বড় সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআই। ক্রিকেটারদের প্রতি বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী চিরকালই সদয় থেকেছেন। এবারও তার সভাপতিত্বে খেলোয়াড়দের বিষয়ে উপকারী সিদ্ধান্ত নিল বোর্ড। এখন থেকে দশটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করলেই বিসিসিআইয়ের বার্ষিক চুক্তির আওতায় আসতে পারবেন ক্রিকেটাররা।
একসময় বিশ্বে রয়েছে মাত্র একটি ম্যাচ খেললেই এই সুযোগ পেতেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু এই নিয়মে বড়োসড়ো পরিবর্তন আনে সুপ্রিম কোর্ট। সিইওএ জানায় এবার থেকে কমপক্ষে তিনটি টেস্ট ও সাতটি ওয়ানডে খেললে তবেই বোর্ডের চুক্তির আওতায় আসতে পারবেন খেলোয়াড়রা। কিন্তু তার ফলে ওয়াশিংটন সুন্দরের মত টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট ক্রিকেটাররা বোর্ডের বার্ষিক চুক্তির আওতায় বাইরে চলে যাচ্ছিলেন। ফলত লকডাউনের পরে এই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন আনল বোর্ড। এখন দশটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করলেই বোর্ডের চুক্তির আওতায় আসতে পারবেন সুন্দরের মত ক্রিকেটাররা। বিসিসিআই জানিয়েছে টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট ক্রিকেটারদের ওপর জোর দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।
ধারাভাষ্যকার নিয়েও সিদ্ধান্ত বদল করলো বোর্ড। আর তাতেই ভাগ্যের শিখেছিল সঞ্জয় মঞ্জরেকারের। এর আগেও একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করে সমস্যায় পড়েছিলেন সঞ্জয়। বিশেষত রবীন্দ্র জাদেজার বিরুদ্ধে ‘নিম্নমানের ক্রিকেটার’ বলে অভিযোগ করার পর যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয় তাকে। সোশ্যাল মিডিয়াসহ ভারতীয় ক্রিকেটের সমর্থকদের কাছে বারবার ট্রোলড হন তিনি।যদিও মঞ্জরেকার বলেছিলেন কমেন্ট্রি করার সময় এই ধরনের কোন মন্তব্য করেননি তিনি। বরং এক সাক্ষাৎকারে রবীন্দ্র জাদেজা সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন জাদেজা বিডস এন্ড পিসেস প্লেয়ার।
এরপরও নিজের মন্তব্যে লাগাম লাগাননি সঞ্জয়। গোলাপি টেস্টে হর্ষ ভোগলের বিরুদ্ধে আবার আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে বসেন তিনি। এরফলেই বিসিসিআই ধারাভাষ্যকারের তালিকা থেকে তাকে বাদ দেয়। পরপর বিসিসিআইকে এই বিষয়ে আরজি জানিয়েও কোনো ফল হয়নি। তবে এবার ভাগ্য খুলল তার। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ধারাভাষ্যকার হিসেবে ২২ জনের নাম ঘোষণা করেছে বোর্ড। আর সেই দলে নাম রয়েছে সঞ্জায় মঞ্জরেকারেরও।