দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রাক্তন বোর্ড প্রশাসক তথা ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ। মূলত দু’টি বিষয়ে এদিন সৌরভকে আক্রমণ শানান তিনি। একটি হল টাকার জন্য অনলাইন গ্যাম্বলিং গেমের প্রচার এবং অন্য কারণটি হলো সঞ্জায় মঞ্জরেকারের সঙ্গে বোর্ডের ব্যবহার।
একসময় বোর্ডের প্রশাসক কমিটিতে থাকা রামচন্দ্র গুহ বলেন, “এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেটে ভাইপোবাদ সম্পূর্ণ ছড়িয়ে গেছে। আমি বর্তমান প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে টাকার কাঙ্গাল মনে করি, কারণ ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পদে থাকা সত্ত্বেও তিনি অনলাইন ফ্যান্টাসি গেমের প্রচার করেন। যা কখনোই সৌরভ গাঙ্গুলীর মত একজন বড় ব্যক্তিত্বকে মানায় না। তিনি শুধুমাত্র টাকার জন্য এই সমস্ত করে বেড়ান। আর তাই আমি তাকে টাকার কাঙ্গাল মনে করি।”
জানিয়ে রাখা দরকার যে শুধু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নয় এই বিষয় নিয়ে আদালতের ভর্ৎসনা সহ্য করতে হয়েছে অধিনায়ক বিরাট কোহলিকেও। অনলাইন ফ্যান্টাসি লীগ খেলতে গিয়ে টাকা হারিয়ে অনেকেই আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ করা হয় আদালতে। আর এই কারনেই আদালত ভর্ৎসনা করে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ সহ অন্যান্যদের।
আজ সঞ্জায় মঞ্জরেকার সমস্যাতেও মুখ খোলেন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ। কিছুদিন আগেই সঞ্জায় মঞ্জরেকারকে ধারাভাষ্যকার দল থেকে বাদ দিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড। কমেন্ট্রি বক্সে বিতর্কিত মন্তব্য করে বারবার সমালোচনায় পড়েছিলেন এই ভারতীয় ক্রিকেট তারকা। জাদেজাকে বিটস অ্যান্ড পিসেস প্লেয়ার বলা সহ একাধিকবার সীমানা অতিক্রম করে খেলোয়াড় এবং সহকারি ধারাভাষ্যকারদের বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানান তিনি। বিশেষত গোলাপি বলের টেস্টের দিন হর্ষ ভোগলেকে কিভাবে আক্রমণ করেন সঞ্জয়, তা পছন্দ হয়নি অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকেরও।এই কারণেই ধারাভাষ্যকারের তালিকা থেকে তাকে বাদ দেয় বিসিসিআই। যদিও দুবার ক্ষমা চাওয়ার পর আপাতত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাকে আবার তালিকায় রেখেছে ভারতীয় বোর্ড।
কিন্তু এই ইস্যুতে রামচন্দ্র গুহ পাশে দাঁড়ালেন সঞ্জয়েরই। সৌরভকে নিশানা করে এদিন তিনি বলেন,নিশানা করে তিনি বলেছেন, “স্বার্থের সংঘাত খুবই খারাপ একটা ব্যাপার। তবে সৌরভ এখন যা করছে, তা ঠিক নয়। অন্য কোনও দেশ এমনটা করার অনুমতি দেবে না। ধারাভাষ্যকারদের কন্ঠরোধ করা খারাপ কাজ।ফের ধারাভাষ্যকারদের দলে নেওয়ার জন্য সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে আবেদন করতে হয়েছিল। যা খুব করুণ ঘটনা। কেন ধারাভাষ্যের উপর বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ থাকবে? এটা একেবারেই অযৌক্তিক। বিশ্বের অন্য কোথাও এটা হয় না। ভাবতে পারেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এমন হচ্ছে?”
যদিও কমেন্ট্রি বক্সে বসে সতীর্থ ধারাভাষ্যকারদের প্রতি যে ধরনের আচরণ করেছেন সঞ্জায় মঞ্জরেকার, তা সঠিক কিনা সে নিয়ে মুখ খোলেননি রামচন্দ্রবাবু। বোর্ড প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তাঁর এই কঠোর সমালোচনা আগামী দিনে কতখানি প্রভাব ফেলে সেটাই এখন দেখার।