দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ কলকাতা ডার্বিতে মুখোমুখি হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান। নামের আগে শ্রী সিমেন্ট এবং এটিকে বসলেও উত্তেজনা যে একই রকম তা বুঝিয়ে দিয়েছে কলকাতা। একদিকে যেমন রয়েছেন রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামস তেমনি অন্যদিকে রয়েছেন পিলকিংটন, মাঘোমা।সবমিলিয়ে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। লাল হলুদ এবং সবুজ মেরুন বাহিনী মাঠে নামার আগে দুই বিদগ্ধ কোচের ছক কষার সময় এখন প্রায় শেষ। আইএসএলে এই প্রথমবার মাঠে নামছে এই দুই মহারথী।
বিশেষজ্ঞদের অনেকেই এগিয়ে রাখছেন হাবাসকে। যদিও রবি ফাওলার অনেক বড় খেলোয়াড় এবং কোচ তা স্বীকার করে নিয়েছেন দীপেন্দু বিশ্বাসের মত বড় স্ট্রাইকাররাও।কিন্তু সাথে সাথে তিনি এও বলেন যে এ কথা ভুলে গেলে চলবে না, হাবাসের রয়েছে দু-দুটি আইএসএল জয়ের অভিজ্ঞতা। আজ আমরা ক্যালকাটা মিররের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করেছিলাম ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবল তারকা তথা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়ার সাথে।ইস্টবেঙ্গলের হয়ে হাড্ডাহাড্ডি ডার্বিতে বহুবার প্রতিনিধিত্ব করেছেন বাইচুং।আজকের এই উত্তেজক ম্যাচ নিয়ে তিনি বলেন,”কাউকেই আমি এগিয়ে বা পিছিয়ে রাখছি না। দুটি বড় দল আইএসএল খেলছে যা দেখতে আমি ভীষণ উত্তেজিত। এটা কলকাতা ফুটবল এবং ভারতীয় ফুটবলের জন্য খুবই বড় খবর। সমর্থকদের মত আমিও তাই ভীষণ উত্তেজিত।”
একথা ঠিক যে দুই দলই শক্তিতে প্রায় সমান। একদিকে যেমন রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের মত অপরিচিত বিপক্ষ অন্যদিকে তেমনি এটিকে মোহনবাগান পুরোপুরি তৈরি দল। যদিও সোসাইরাজের চোট কিছুটা ভোগাবে হাবাসকে।বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা স্বীকারও করে নিয়েছিলেন তিনি, “মনে হয় না এসসি ইস্টবেঙ্গল বাড়তি কোনও সুবিধে পাবে। ডার্বির আগে একটা ম্যাচ খেলতে পারা আমাদের জন্য ইতিবাচক। তবে এসসি ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা খারাপ নয়। কারণ আমরা ওদের খেলা এখনও দেখিনি।সোসাইরাজের ছিটকে যাওয়াটা দলের পক্ষে বড় ধাক্কা। জানি না ওকে এই প্রতিযোগিতায় আর পাব কি না।’’
তবে একই সঙ্গে তিনি এও মনে করিয়ে দেন মনে হয় না এফসি ইস্টবেঙ্গল কোন বাড়তি সুবিধা পাবে। অন্যদিকে সাংবাদিক বৈঠকে নিজের মতামত জানিয়েছেন ফাওলারও,”সময় কম পেলেও আমরা সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত। ফুটবলারেরা তৈরি। কয়েক জনের সামান্য চোট রয়েছে। কিন্তু তা খুব বড় সমস্যা নয়।”
সূত্রের খবর অনুযায়ী একদিকে যেমন আক্রমণভাগে জোর দিচ্ছেন ফাওলার অন্যদিকে রক্ষণ বিভাগকে আরও শক্তপোক্ত করার কথাই ভাবছেন হাবাস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রাক্তন বাগান ফুটবলার দীপেন্দুও কাল জানিয়েছিলেন, মোহনবাগানের রক্ষণ আরেকটু ভালো হলে আরো ভালো লাগবে তার। এখন মাঠে রক্ষণ এবং আক্রমণের এই অভূতপূর্ব লড়াই কেমন জমে সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে সকলে।