দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইএসএলের সম্ভবত সবচেয়ে বড় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল এটিকে মোহনবাগান এবং এসসি ইস্টবেঙ্গল। আজ শুরু থেকেই দ্রুত আক্রমন তৈরি করার চেষ্টা করে দুই দলই। একদিকে যেমন পিলকিংটন বারবার বিপদ তৈরি করার চেষ্টা করেন তেমনি অন্যদিকে দূরপাল্লার শটে দুরন্ত সুযোগ তৈরি করেন প্রবীর দাসও। আজ শুরু থেকেই বল পজিশন নিজেদের পক্ষে রেখেছিল রবি ফাওলারের ছেলেরা।অন্যদিকে বারবার আক্রমণ তুলে এনে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখার চেষ্টায় আজ কোন ভুল করেনি মোহনবাগান। প্রথম জল পান বিরতি অবধি কোনো গোল না হলেও দুপক্ষের খেলা আজ ভীষণ মুগ্ধ করে সকলকে।
প্রথম ৩৫ মিনিটের মাথায় শুভাশীষ বসু থ্রোয়িং থেকে দুরন্ত সুযোগ তৈরি করেছিলেন জাবি হার্নান্ডেজ। তবে অবশ্যই প্রশংসনীয় ভাবে তা রুখে দেন গোলকিপার দেবজিৎ। বারবার দুরন্ত আক্রমণ করলেও প্রথমার্ধে গোলের ফসল তুলে নিতে পারেনি দুদলই।ফলে কলকাতা ডার্বির হাইভোল্টেজ ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয় নিস্ফলা ভাবেই।যদিও প্রথমার্ধ শেষঅবধি বল পজিশন নিজেদের পক্ষেই ধরে রেখেছিল ইস্ট বেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও একই রকম উত্তেজক খেলা বজায় রেখেছিল দু’পক্ষই। কিন্তু ৪৯ মিনিটের মাথায় হাবি হার্নান্দেজের পাস থেকে দুরন্ত গোল তুলে নিয়ে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন রয় কৃষ্ণা। এই শটে দুরন্ত চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন দেবজিৎ মজুমদার। তবে অবশ্যই ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সে তেমনভাবে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি স্কট নেভিল। আর সেই কারণেই গোল হজম করতে হয় লাল-হলুদ বাহিনীকে। দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যপর্বে ইস্টবেঙ্গলকে ম্যাচে ফেরানোর সুন্দর সুযোগ পেলেও আজ কাজে লাগাতে পারেননি বলবন্ত সিংহ।
প্রথমার্ধে বল পজিশন নিজেদের দখলে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোল তুলে নেওয়ার পর অনেক সপ্রতিভ হয়ে ওঠে এটিকে মোহনবাগান। অবশ্যই প্রশংসা করতে হবে রক্ষণ বিভাগে সন্দেশ ঝিঙ্গান এবং প্রীতম কোটালের, যেভাবে তারা আজ পিলকিংটন, স্টেইনম্যান এবং মাঘোমাকে সামলেছেন তা ছিল সত্যিই অনবদ্য। ম্যাচের একদম শেষের দিকে দুরন্ত সুযোগ তৈরি করেছিলেন পিলকিংটন। কিন্তু অবশ্যই প্রশংসা করতে হবে অরিন্দম ভট্টাচার্য যেভাবে বাঁদিকে নিজের শরীর ছুড়ে দিয়ে বলটিকে রুখে দেন। তার এই দুরন্ত সেভের কারণেই খেলার ফলে কোন কোন পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি লাল হলুদ। কিন্তু ৮৬ মিনিটের মাথায় স্বকীয় প্রতিভায় মোহনবাগানকে ইনসিওরেন্স গোল এনে দেন মনবীর সিংহ। একা আজ যেভাবে বল টেনে নিয়ে গিয়ে দেবজিৎকে পরাস্ত করেন তিনি তা ছিল সত্যিই অনবদ্য। ফলে ২-০ গোলের ব্যবধানে এই ঐতিহাসিক ডার্বি জিতে নেয় মোহনবাগান।