দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ একেই হয়তো বলে গুরুদক্ষিণা। গুরু দিয়েগো মারাদোনাকে অভিনব পদ্ধতিতে শ্রদ্ধা জানালেন লিওনেল মেসি। সাতাশ বছর পর ফিরল সেই স্মৃতি। নিজের ছোটবেলার ক্লাব নিউ ওয়েলস ওল্ড বয়েজের জার্সি এদিন ছিল মেসির পরনে। গোল করার পরেই বার্সেলোনার জার্সি খুলে ফেলে ভিতরে পড়া নিউ ওয়েলস ওল্ড বয়েজের জার্সিতে মারাদোনাকে শ্রদ্ধা জানালেন তিনি। সালটা ছিল ১৯৯৩, ইন্দিপেনদিয়েন্তের বিরুদ্ধে নিউ ওয়েলস ওল্ড বয়েজ ক্লাবের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন দিয়েগো আর্মন্দো মারাদনা। পিঠে ছিল সেই পরিচিত জার্সি নম্বর ১০।
ফুটবলের ক্যারিয়ার তখন সায়াহ্ণে মারাদোনার। পাঁচটি ম্যাচ খেললেও ক্লাবের হয়ে আসে নি কোন গোল।পরের বছর তার উত্তরসূরিকে তুলে দেওয়া হয় সেই ১০ নম্বর জার্সি। আজ ওসাসুনার বিরুদ্ধে বার্সেলোনার হয়ে ৭৩ মিনিটের মাথায় গোল তুলে নেন মেসি।তিন ডিফেন্ডারকে হেলায় পরাস্ত করে বাঁ পায়ের শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। এদিন গোটা মাঠজুড়ে পেরেছিলেন ভীষণরকম সক্রিয়। যেন গুগোল তুলে নিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন এই আর্জেন্টিনীয় তারকা। প্রথম তিন গোলের অপেক্ষা আজ যেন কোথাও ভিতরে ভিতরে উদগ্রীব করে তুলেছিল মেসিকে।
তাই গ্রিজম্যান কুটিনহোদের পর ৭৩ মিনিটের মাথায় যখন দৃষ্টিনন্দন গোলটি আসা মেসির পা থেকে। তখন সকলেই বুঝেছিল আজ কিছু অন্যরকম হতে চলেছে। হলও তাই বার্সেলোনার জার্সি খুলে ফেললেন মেসি।পড়লেন ছেলেবেলার নিউ ওয়েলস ওল্ড বয়েজ ক্লাবের ১০ নম্বর জার্সি। আর তারপর দুই হাত উপর দিকে করে আকাশের দিকে চেয়ে থাকা কিছুক্ষণ। পরিচিত ভঙ্গিতে শ্রদ্ধা জানানো গুরু মারাদোনাকে। দৃশ্যটি দেখে আবেগে ভাবলেন বার্সেলোনা ম্যানেজার ক্যোমানও।এদিন তিনি বলেন, “এটাই প্রত্যাশিত ছিল ওর কাছ থেকে।”
সতীর্থ ফিলিপ কুটিনহো বলেন,”মারাদনা শুধু আর্জেন্টিনা নয়, আমাদেরও গর্ব।বিশ্ব ফুটবলের চরম বিস্ময়। লিওর শ্রদ্ধা নিবেদনে আমরা অভিভূত।”
গোটা ম্যাচ জুড়ে হয়তোবা সবথেকে অস্বস্তিকর মুহূর্তে ছিলেন রেফারি। কারণ এর পরেই ফুটবলের নিয়ম মেনে তাকে হলুদ কার্ড দেখাতে হয় মেসিকে। রেফারি আন্তোনিও মাটেউ লাহোজ ম্যাচ শেষে বলেন,এ ঘটনার পর মেসিকে হলুদ কার্ড দেখাতে আজ হাত কাঁপছিল। ফিফার উচিত এইসব ক্ষেত্রে নিয়মের কিছু পরিবর্তন আনা।