দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ সম্মান বাঁচানোর লড়াইয়ে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল টিম ইন্ডিয়া। প্রথমে ব্যাট করে আজ হার্দিকের ৯২ জাদেজার ৬৬ এবং কোহলির অধিনায়কোচিত ৬৩ রানের ইনিংসের দৌলতে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৩০৩ রানের টার্গেট রাখে বিরাট বাহিনী। যদিও এই পিচে টার্গেট মোটেই যথেষ্ট ছিল না কিন্তু বোলিংয়ে নেমে প্রথমেই লাবুশানেকে ৭ রানে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ধাক্কা দেন টি নটরাজন।
তবে আজও একই রকম সক্বীয় ভঙ্গিমায় শুরু করেন ফিঞ্চ এবং স্মিথ। যদিও আজ বেশ কিছু জীবনদানও পান স্নিথ।তবে আজ জীবনদান সেভাবে কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। শার্দুল ঠাকুরের বলে কে এল রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৭ রানেই ফিরতে হয় তাকে। তবে অন্যদিকে উইকেট পতন সত্ত্বেও আজও নিজের দুরন্ত ব্যাটিং ফর্ম বজায় রাখেন ফিঞ্চ।বেশকিছু অসাধারণ শটের সাহায্যে সিরিজে নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। অন্যদিকে যোগ্য সঙ্গ দেন অনরিকেসও।তবে আজ বেশিক্ষণ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি অনরিকেস।মাত্র ২২ রানেই আজ শার্দুলের শিকারে পরিণত হন তিনি। ফলে আজ চাপ এসে পড়ে ফিঞ্চের উপরেও। শেষ পর্যন্ত ৮২ বলে সাতটি চার ও তিনটি ছয় দিয়ে সাজানো ৭৫ রানের ইনিংস খেলে জাদেজার বলে বড় শট খেলতে গিয়ে শিখরের হাতে বন্দী হন তিনি।
আজ বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি ক্যামেরন গ্রিনও। ২২ রানের ভালো ইনিংস খেলে কুলদীপের শিকার হতে হয় তাকে। বলতো আজ দায়িত্ব ছিল অ্যালেক্স ক্যারি এবং ম্যাক্সওয়েলের ওপর। গত দুই ম্যাচে সেভাবে সুযোগ না পেলেও আজ ভালো শুরু করেছিলেন ক্যারি। ৪২ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। কিন্তু কোহলি এবং রাহুলের যুগলবন্দিতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকেও। এর ফলে এই প্রথম সিরিজের কোন ম্যাচে চালকের আসনে উঠে আসে ভারতীয় দল। যদিও অ্যাস্টন অ্যাগারের ব্যাটিং ক্ষমতা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই , সঙ্গী ছিলেন ম্যাক্সওয়েলও তাই ভারতের জয়ের পথে কাঁটা তখনো শেষ হয়ে যায়নি।
আজ নামের প্রতি সুবিচার করে ভালো শুরু করেন ম্যাক্সওয়েলও।রানরেটের চাপ থাকা সত্ত্বেও ধৈর্যের সাথে নিজের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। তার সেই দায়িত্বশীল ব্যাটিং যা আইপিএলে সেভাবে চোখে পড়েনি আজকের ইনিংসে তার কোন অভাব ছিল না। মাত্র ৩৩ বলে চারটি ছয় এবং দুটি ছয়ের সাহায্যে নিজের দুরন্ত অর্ধশতক পূর্ণ করেন ম্যাক্সি।তার এই দুরন্ত ব্যাটিংয়ের দৌলতেই আরেকবার চালকের আসনে ফিরে আসে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ৪৫ তম ওভারে ৫৯ রানে তাকে বোল্ড করে ভারতকে আরেকবার ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন বুমরাহ।যদিও শেষ ৩০ বলে জয়ের জন্য মাত্র ৩২ রানই দরকার ছিল অজিবাহিনীর।কিন্তু ৪৭ তম ওভারে নিজের স্পেলের শেষ বলে অ্যাবোর্টকে ফিরিয়ে ম্যাচে আরেকবার প্রাণ ফিরিয়ে দেন শার্দুল ঠাকুর। পরের ওভারে অ্যাস্টনকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন নটরাজনও। ফলে ৯ উইকেট প্রকৃত অর্থেই চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।শেষ ওভারে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ১৫ রান। কিন্তু জ্যাম্পাকে এলবিডব্লিউ করে ম্যাচ শেষ করে দেন যশপ্রীত বুমরাহ।