দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইএসএল এর ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল হায়দ্রাবাদ এবং জামশেদপুর। শুরু থেকেই আজ আক্রমণাত্মক ছিল দুই দলই। একদিকে ছিলেন ভালস্কিস এবং অন্যদিকে ছিলেন আরিদানে সন্টানা।প্রথম জল পান বিরতি পর্যন্ত যদিও গোলের দরজা খুলতে পারেনি কোন দলই।কিন্তু হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বজায় ছিল দুই দলের মধ্যেই। বিশেষত আজ হায়দ্রাবাদ যেভাবে বারবার আক্রমণ তুলে এনেছে তা ছিল সত্যি অনবদ্য।আজ রক্ষণ বিভাগও যথেষ্ট কার্যকরী ছিল হায়দ্রাবাদের। ওডেই, আকাশ মিশ্র, আশিষ রাই প্রত্যেকেই ছিলেন যথেষ্ট কার্যকরী। তবে আজ জয় সত্যিই বেশি দরকার জামশেদপুর এফসির। আপাতত দুটি ড্র তুলে নিয়ে দুই পয়েন্টে রয়েছে তারা। অন্যদিকে হায়দ্রাবাদ রয়েছে পাঁচ পয়েন্টে।
প্রথমার্ধে শেষের দিকে আবারও সুন্দর সুযোগ তৈরি করেছিল হায়দ্রাবাদ। যদিও বল মনে রাখতে পারেননি মোহাম্মদ ইয়াসির।৪১ মিনিটের মাথায় আবারো দুরন্ত সুযোগ তৈরি করেছিলেন হরিচরণ নার্জারি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হরিচরনের দুরন্ত শট বারে লেগে বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধের শেষ অবধি বারবার সুযোগ তৈরী হলেও গুরুত্বপূর্ণ গোলের মুখ খুলতে পারেননি কেউই। তাই নিষ্ফলাই শেষ হয় প্রথমার্ধ। তবে বহুবারই হায়দ্রাবাদের কাছে আজ সুযোগ ছিল এগিয়ে যাবার। পেনাল্টি বক্সের কাছাকাছি এলাকায় ফ্রি কিক পেয়েও আজ গোলে কনভার্ট করতে পারেননি তারা। তবে অবশ্যই প্রশংসা করতে হবে জামশেদপুরের গোলকিপার পবন কুমারও।বারবার যেভাবে প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের সঙ্গে একের পর এক সেভ করেছেন তিনি, তা ছিল সত্যিই অসাধারণ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের মুখ খুলে ফেলে হায়দ্রাবাদ। ৫০ মিনিটের মাথায় হরিচরণ নার্জারির শট আটকে দিয়েছিলেন পবন কুমার কিন্তু ফিস্ট করতে গিয়ে তার হাত থেকে বলটি বেরিয়ে যায়। আর কোন ভুল করেননি আরিদানে সন্টানা। সুন্দরভাবে বলটি গোলের জালে জড়িয়ে দেন সুযোগ-সন্ধানী সান্টানা।ফলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ০-১ গোলে এগিয়ে যায় হায়দ্রাবাদ। কিন্তু পিছিয়ে পড়েও আজ মাঠ ছাড়েনি জামশেদপুর। বারবার সুযোগ তৈরি করেছিল দুই দলের যদিও ৭১মিনিটের মাথায় জামশেদপুরের পক্ষে চলে এসেছিলো একটি দুরন্ত সুযোগ।একটি আত্মঘাতী গোল হলেও ফাউলের কারণে বাতিল হয়ে যায় সেটি।
তবে আজ বারবারই আক্রমণ তুলে আনতে ভুল করেনি দুই দলই। বিশেষত দ্বিতীয়ার্ধে গোল খাওয়ার পর আক্রমণের ধার অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় জামশেদপুর এফসি। প্রথমার্ধে সেভাবে সক্রিয় না হলেও দ্বিতীয়ার্ধে ভীষণ সক্রিয় ছিলেন ভালস্কিস। অবশ্যই হায়দ্রাবাদের পক্ষে আজ যেভাবে সক্রিয়তা দেখিয়েছেন লিস্টন কোলাসো তারও প্রশংসা করতে হবে। কিন্তু আজ সমতা ফেরান স্টিফেন এজে। ৮৫ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত শটে হায়দ্রাবাদের গোলকিপার কাট্টিমনিকে পরাস্ত করেন তিনি। অতিরিক্ত ডিফেন্স করতে গিয়েই আজ ভুল কনসিড করতে হয় হায়দ্রাবাদকে।অবশ্যই প্রশংসা করতে হবে কোচের স্ট্যাটিজিকেও। যেভাবে গোলের মুখ খুলতে স্টিফেন এজেকে সামনে নিয়ে আসেন তিনি মূলত তার কারণেই ম্যাচে সমতা ফেরায় জামশেদপুর। যদিও আজ দ্বিতীয় গোল তুলে নেবার যথেষ্ট সুযোগ ছিল হায়দ্রাবাদের কাছেও। কিন্তু আজ আর গোলের মুখ খুলতে সমর্থ হয়নি তারা। বলতো এক গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ড্র দিয়েই শেষ করতে হয় দুই দলকে।