দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ফেরেনকোভারসকে হারিয়ে চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের পাঁচটি ম্যাচের পাঁচটিতেই জয় তুলে নিল বার্সেলোনা। গত সপ্তাহের ডায়নামো কিয়েভ ম্যাচের মতোই কাল রাতের ম্যাচেও বার্সা অধিনায়ক মেসিকে স্কোয়াডে রাখেননি কোম্যান। তাতে অবশ্য জয় পেতে অসুবিধে হয়নি স্প্যানিশ জায়ান্টদের। ৩-০ গোলে হাঙ্গেরির ক্লাবকে উড়িয়ে চলতি মরশুমে প্রথমবার তারা পরপর তিনটি ম্যাচে জয় পেল। এক সপ্তাহের মধ্যে খেলা এই তিনটি ম্যাচে বার্সেলোনা মোট গোল করেছে ১১ টি। আর এই তিনটি ম্যাচে একটিও গোল হজম করতে হয়নি তাদের।
কালকে রাতের ম্যাচে বার্সার হয়ে তিনটি গোল করেছেন তিন আলাদা ফুটবলার। তিনটি গোলই এসেছে প্রথমার্ধে। ১৪ মিনিটে জর্দি অ্যালবার ক্রস থেকে চতুর ফ্লিকে গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন ফ্রেঞ্চ তারকা আন্তোনিও গ্রিয়েজম্যান। ২০ মিনিটে বার্সার হয়ে ম্যাচের দ্বিতীয় এবং চলতি মরশুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের তৃতীয় গোলটি করে যান ডেনমার্কের স্ট্রাইকার মার্টিন ব্রেথওয়েট। এরপর ২৯ মিনিটে ব্রেথওয়েটকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন এক ফেরেনকোভারস ডিফেন্ডার। গ্রিয়েজম্যানের সাম্প্রতিক পেনাল্টি রেকর্ডের কথা মাথায় রেখে তার বদলে পেনাল্টি নিতে আসেন আর এক ফ্রেঞ্চ তারকা উসমান ডেমবেলে। পেনাল্টি থেকে দলের তৃতীয় গোলটি করে যান তিনি। গোল করা ছাড়াও আগের দুটি গোলের ক্ষেত্রে তার বেশ খানিকটা ভূমিকা ছিল। এ ছাড়াও মাঠের বাঁ প্রান্ত তার মুহুর্মুহু আক্রমণ নাস্তানাবুদ করে দিয়েছে হাঙ্গেরির ক্লাবটিকে। তাই ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিনি। এছাড়া মাঝমাঠে দুর্দান্ত খেলেন চলতি মরশুম শুরুর আগে জুভেন্তাস থেকে বার্সায় যোগ দেওয়া বসনিয়ান মিডফিল্ডার মিরালাম পিয়ানিক।
মরশুম শুরুতে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছিল বার্সেলোনা, যার প্রভাব তাদের খেলায় দেখা যাচ্ছিল। গত মরশুমের হতশ্রী পারফরম্যান্স এবং মাঠের বাইরে একাধিক বিতর্ক সব মিলিয়ে ভালোই অস্বস্তিতে ছিল বার্সেলোনা। কিন্তু শেষ কয়েকটি ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্স দেখে মনে হয়েছে যে খেলোয়াড়রা সামলে উঠেছেন। বার্সা ম্যানেজার রোনাল্ড কোম্যানও তাই মনে করেন। ম্যাচের পর তিনি জানিয়েছেন এখনও ডিফেন্সে কিছু সমস্যা রয়েছে যা নিয়ে তাদের ভাবতে হবে। মরশুম শুরুতে তারা যে অবস্থায় ছিলেন তার চেয়ে অনেকটাই উন্নতি করেছেন বলে মনে করেন ডাচ ম্যানেজার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের পরবর্তী ম্যাচ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জুভেন্তাসের বিরুদ্ধে। আগের পর্বের খেলায় জুভেন্তাসের ঘরের মাঠে তাদেরকে হারিয়ে এসেছে বার্সা। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে জুভেন্তাসের সেই ম্যাচের দলে ছিলেন না রোনাল্ডো। দুই দলই অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো পর্বের যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে। তবুও গ্রূপের ছটি ম্যাচ জিতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউটে যেতে চান বলে জানিয়ে দিয়েছেন কোম্যান। পরের ম্যাচে যদি মেসি বার্সার হয়ে নামেন তাহলে ২ বছরেরও বেশি সময় পড়ে মেসি বনাম রোনাল্ডো দ্বৈরথ দেখতে পাবেন ফুটবলপ্রেমীরা। সেই নিয়ে এখন থেকেই উত্তেজনায় ভুগছে গোটা ফুটবলবিশ্ব।
Ronald Koeman, Barcelona, UEFA Champions League