দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ গত মরশুমে যেখানে শেষ হয়েছিল, ঠিক সেখান থেকেই যেন নতুন মরশুম শুরু করেছে আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল। অনেকেরই মনে প্রশ্ন ছিল যে মোহনবাগান এবং এটিকে একসঙ্গে আসার পরেও কি একইরকম সাফল্য পাবেন হাবাস। কিন্তু দলের কোর এক থাকায় সেই নিয়ে কোনও অসুবিধে এখনও অবধি ভোগ করতে হয়নি সবুজ মেরুন শিবিরকে। প্রথম থেকেই যে ছন্দ পেয়ে গিয়েছে এটিকে মোহনবাগান, তা তাদের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে সফল হতে সাহায্য করবে। প্রথম ম্যাচেই তারকা উইং হাফ মাইকেল সুসাইরাজ চোট পেয়ে কার্যত লিগের বাইরে ছিটকে যাওয়া সত্ত্বেও তাদের বিশেষ কোনও অসুবিধায় পড়তে হয়নি। এর কারণ হিসেবে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা সবুজ মেরুন শিবিরের শক্তিশালী রিজার্ভ বেঞ্চকে। এটিকে মোহনবাগানের রিজার্ভ বেঞ্চ এতটাই শক্তিশালী যে, সুসাইরাজের অভাবে অসুবিধা হয়নি হাবাসের। প্রথম ম্যাচে পরিবর্ত হিসাবে শুভাশিসকে নামিয়ে চার ডিফেন্ডার এবং দ্বিতীয় ম্যাচে জয়েশ রানেকে মাঝমাঠে নামিয়েও সাফল্য পান স্প্যানিশ কোচ।
এখনও অবধি এটিকে মোহনবাগানের প্রথম একাদশে জায়গা না পেয়ে বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে সুমিত রাঠি, প্রণয় হালদার, মনবীর সিং, ব্র্যাড ইনম্যান, গ্লেন মার্টিন্সদের মতো ফুটবলারদের, যারা কিনা যে কোনও আইএসএল-এর দলের প্রথম এগারোয় থাকার মতো দক্ষ। এমন ফুটবলাররাদের যে দলের রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকতে হয়, সেই দলের প্রথম এগারোর খেলোয়াড়রা কতটা কার্যকরী, তা আন্দাজ করাই যায়। হাবাস বলছেন দীর্ঘ লিগে কাউকে টানা খেলিয়ে তার ওপর অতিরিক্ত চাপ দিতে চান না, সময় এবং প্রয়োজন মতো সকলকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যাবহার করা হবে।
সবুজ মেরুন রক্ষণে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন প্রীতম কোটাল, তিরি, সন্দেশ ঝিঙ্গানরা। তাদের ধোঁকা দিয়ে বিপক্ষের ফরোয়ার্ড বা মিডফিল্ডারদের গোলের মুখ খোলা যেমন কঠিন, তার চেয়েও বেশি কঠিন আক্রমণে রয় কৃষ্ণাকে আটকানো। দূটি ম্যাচেই তিনি কিন্তু খুব সুন্দর ফুটবল খেলেননি। কিন্তু বিপক্ষ ডিফেন্সের এক মুহূর্তের ভুলকে কাজে লাগিয়ে দুটি ম্যাচেই গোল করেছেন, যা চিন্তায় রাখবে বিপক্ষ কোচেদের। তার সাথে গত ম্যাচে মনবীর যে ফর্মের ঝলক দেখিয়েছেন, তা দেখে হাবাস যদি তাকে প্রথম একাদশে জায়গা দিয়ে দেন তাহলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবেনা। আজকের ম্যাচে প্রতিপক্ষ খাতায় কলমে দুর্বল ওড়িশা এফসি। চলতি মরশুমে এখনও জয় পায়নি তারা। ওডিশার কোচ স্টুয়ার্ট বাক্সটারের বিরুদ্ধে আগেও কোচিং করিয়েছেন হাবাস। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোচিং করানোর সময়ে দুই কোচ পরস্পরের বিরুদ্ধে একাধিক বার মুখোমুখি হয়েছেন। প্রতিপক্ষকে সম্মান দিয়েও তার দলের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হাবাস।