দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ তৃতীয় ওভারেই ধাওয়ান এবং তারপর পাওয়ার প্লে শেষের পর নবাগত অজি লেগস্পিনার স্বোয়েপসনের স্পিনে কোহলিকে হারিয়ে ম্যাচের শুরুতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সেখান থেকে লোকেশ রাহুল এবং সঞ্জু স্যামসনের ব্যাটিং প্রাথমিক চাপ কাটাতে সাহায্য করে ভারতকে। ধাওয়ান এবং কোহলির উইকেট তাড়াতাড়ি যাওয়া সত্ত্বেও তা কোনও প্রভাব ফেলেনি লোকেশ রাহুলের ব্যাটিংয়ে। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন তিনি।
ভারতীয় ইনিংসের মাঝামাঝি জায়গায় এসে ছবিটা ফের বদলাতে শুরু করে। ২৩ রান করে মোজেস হেনরিক্সের বলে এক্সট্রা কভারে থাকা স্বোয়েপসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সঞ্জু স্যামসন। সেট হয়েও উইকেট ছুড়ে ফেলে আসার প্রবণতা কাটাতে পারলেন না তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। এর পর নবাগত মনীশ পান্ডেকে ৮ বলে মাত্র ২ রান করে জাম্পার শিকার হয়ে ফেরেন। অপর দিক থেকে টানা উইকেট পড়ার প্রেসার নিয়ে ব্যাটিং করতে করতে ছন্দ কাটে রাহুলেরও। ব্যাক্তিগত রানের মাথায় তিনিও নিজের উইকেট ছুড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ঘাতক আবারও সেই অজি অলরাউন্ডার হেনরিক্স।
এর পরের ওভারগুলি দ্রুত বার করার চেষ্টা করতে থাকেন অজি বোলাররা। ক্রিজে তখন উপস্থিত ছিলেন শেষ ওয়ান ডে ম্যাচে ভারতের রক্ষাকর্তা জুটি পান্ডিয়া-জাদেজা। ভারতীয় ক্রিকেটভক্তদের কাছে শেষ আশা ছিল এই জুটি। কিন্তু ১৫ বলে মাত্র ১৬ রান করে স্টিভ স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হার্দিক পান্ডিয়া। দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মোজেস হেনরিক্স। হার্দিক ফিরলেও হতাশ করেননি জাদেজা। শেষপর্যন্ত তার ব্যাটে ভর করে ১৬১ রান তোলে ভারত। জাদেজা নিজে পাঁচটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ২৩ বলে ৪৪ রান করেন। হ্যাজেলউডের শেষ ওভারে পিটিয়ে ২১ রান নেন তিনি। এখন বাকি দায়িত্ব চাহার, নটরাজনদের ওপর।