দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ইতালির বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব নাপোলির হোমগ্রাউন্ড নামাঙ্কিত করা হল সদ্য প্রয়াত ফুটবলের রাজপুত্র দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনার নামে। স্তাদিও সান পাওলো স্টেডিয়াম শুক্রবার থেকে নাম বদলে আত্মপ্রকাশ করল স্তাদিও দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা নামে। নয়া নামকরণের পর আগামী ১০ ডিসেম্বর কৌলিবালি, ড্রায়েস মার্টেন্সরা স্তাদিও দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম হোম ম্যাচটি খেলবেন।
গত সপ্তাহে ৬০ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন আর্জেন্তিনার কিংবদন্তি তথা নাপোলি ফুটবল ক্লাবের একদা অবিসংবাদী ফুটবল নায়ক দিয়েগো মারাদোনা। ফুটবল রাজপুত্রের মৃত্যুর পরেই স্তাদিও সান পাওলো স্টেডিয়ামের নাম বদলে দিয়েগো মারাদোনার নামে নামাঙ্কিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল ন্যাপেলস সিটি কাউন্সিল। ন্যাপেলস সিটি কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “অপরিসীম প্রতিভা এবং ফুটবল জাদু দিয়ে প্রয়াত দিয়েগো মারাদোনা নাপোলি ক্লাবের জার্সিকে একদা সমৃদ্ধ করেছিলেন। দু’টি ঐতিহাসিক চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাব ছাড়াও অন্যান্য ট্রফি দিয়ে গোটা শহরের ভালোবাসা উনি আদায় করে নিয়েছিলেন।”


আর্জেন্তাইন নায়কের এইসব খেতাব জয় শুধু নাপোলি ক্লাবের জন্য ছিল না বরং গোটা শহরটার জন্য ছিল। এই শহর পরিচিতি পেয়েছে তাঁর জন্যই। নাপোলি ক্লাব এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে, “দিয়েগো মারাদোনার নামে স্তাদিও সান পাওলো নামকরণের যে সিদ্ধান্ত ন্যাপেলস সিটি কাউন্সিল গ্রহণ করেছে তাতে তারা যারপরনাই উচ্ছ্বসিত।” দিয়েগো মারাদোনার মৃত্যুর ঠিক পরেই নাপোলি স্টেডিয়ামের নামকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ন্যাপেলস শহরের মানুষ একবাক্যে এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানান।
এই প্রসঙ্গে ন্যাপেলসের মেয়র লুইগি দি ম্যাজিস্ট্রিস জানিয়েছিলেন, “নাপোলির আরেক নাম মারাদোনা। ফুটবলের প্রতি মারাদোনার প্যাশন সম্পর্কে এই শহরের সকল মানুষ অবগত। মারাদোনা পৃথিবীজোড়া সকল ন্যাপোলিয়ানদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। মারাদোনার পরিবার আজ সকল ন্যাপোলিয়ান।” উল্লেখ্য, ১৯৮৪ বার্সেলোনা ছেড়ে ন্যাপেলসে আগমণ ঘটেছিল বছর তেইশের মারাদোনার। নাপোলি তখন ছন্দহীন, দেশের প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লিগে টিকে থাকার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। দিয়েগো আসতেই যেন কোনও এক জাদুকাঠির ছোঁয়ায় বদলে গিয়েছিল সবকিছু।
আর্জেন্তিনাকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার পরের বছরেই মারাদোনা ইতালি সেরা করেছিলেন নাপোলিকে। ১৯৯০-এ আবার সেরা হয় নাপোলি। মাঝে ১৯৮৮-৮৯ উয়েফা কাপ ঘরে এসেছিল ইতালির ক্লাবটির। ব্যস মারাদোনার হাত ধরে ওইটুকুই। এরপর থেকে আজো নাপোলি তাদের হৃত সম্মান পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।