দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ দিনটা আজ থেকে ১৬ বছর আগের। আজকের মতো রোদ ঝলমলে এক ৫ ডিসেম্বর। বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ডেম্পো এবং মোহনবাগান। আর পাঁচটা ফাইনালের মতোই উত্তেজক লড়াই চলছিল দুই দলের মধ্যে। কিন্তু, ম্যাচের ৭৮ মিনিটে ঘটে যায় এমন এক ঘটনা যা ৫ই নভেম্বর তারিখটিকে করে তোলে ভারতীয় ফুটবলের ব্ল্যাক লেটার ডে। বাগান ডিফেন্সের অফসাইড ট্র্যাপকে বিট করে গোল করে গিয়েছিলেন আগের বছরই ভারতে পা রাখা এক প্রতিভাবান ব্রাজিলিয়ান- ক্রিস্টেয়ানো জুনিয়র। বাগান গোলরক্ষক সুব্রত পাল চেষ্টা করেও আটকাতে পারেননি তাঁকে। ১-০ ম্যাচ ২-০ হয়ে যায়।
কিন্তু গোল করার পরেই সুব্রতর বাড়ানো হাতের আঘাতে মাঠে লুটিয়ে পড়ে জুনিয়র। সে দিন অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। জীবনের শেষ টাচে গোলের পর মাঠেই সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। গোলের পর আনন্দ তো দূরের কথা, জুনিয়র তখন চালাচ্ছিলেন জীবনে ফেরার লড়াই। তিনি লুটিয়ে পড়তেই মুহূর্তে ছুটে আসেন র্যান্টি মার্টিন্সরা ও অন্যান্য সতীর্থরা। দৌড়ে আসেন মোহনবাগানের খেলোয়াড়রাও। কিন্তু, তাদের সেই ডাকে সাড়া দেওয়ার কোনও ক্ষমতাই ছিল না জুনিয়রের। অ্যাম্বুল্যান্স আনা হয়। স্ট্রেচারে শুয়ে তাতে করেই প্রিয় মাঠ থেকে চিরবিদায় নিয়েছিলেন ব্রাজিলীয় ওই ফুটবলার। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন সব শেষ। হৃৎপিণ্ডে দুর্বিষহ আঘাত লাগার ফলেই মৃত্যু হয়েছিল জুনিয়রের।
সে দিন ওই দুর্ঘটনার পরও ফেড কাপ ফাইনাল জিতেছিল ডেম্পোই। ডেম্পোর দুটি গোলই করেছিলেন সেই ব্রাজিলিয়ান। আজ জুনিয়রের ১৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী। তার স্মৃতিতে ডেম্পোতে ১০ নম্বর জার্সি আজও কাউকে দেওয়া হয় না । জুনিয়রের মৃত্যুর পর অনেক ট্রফি জিতেছে ডেম্পো। কিন্তু, আর কখনও ফেড কাপ জেতা হয়নি গোয়ার ক্লাবের। ফেড কাপের সেই স্মৃতি আজও ডেম্পোর কাছে উজ্জ্বল শুধুমাত্র জুনিয়রের কারণেই।