দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ শেষ একটা সপ্তাহ দুর্দান্ত কেটেছিল বার্সেলোনার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা মিলিয়ে টানা তিনটি ম্যাচ জিতেছিল বার্সেলোনা। এই তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই মেসিকে ছাড়াই জয় অর্জন করেছিল গ্রিয়েজম্যানরা। শেষ তিনটি ম্যাচে তাদের গোলসংখ্যা ছিল ১১। একটিও গোল হজম করতে হয়নি তাদের এই সময়ে। কিন্তু বার্সা ভক্তদের সেই সমস্ত আনন্দ মাটি হয়ে গেল কালকে রাতের ম্যাচের পর। এই বছরই প্রমোশন পেয়ে দ্বিতীয় ডিভিশন থেকে প্রথম ডিভিশনে ওঠে আসা কাডিজের বিরুদ্ধে ২-১ ফলে হেরে গেল বার্সেলোনা।
ম্যাচের ৮ মিনিটের মধ্যে আলভারো গিমিনেজের গোলে এগিয়ে যায় কাডিজ। ৫৭ মিনিটে কাডিজ ডিফেন্ডার আলকালার আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে বার্সা। কিন্তু ৬৩ মিনিটে প্রাক্তন ম্যান সিটি তারকা আলভারো নেগ্রেদোর গোলে ফের এগিয়ে যায় কাডিজ। ম্যাচে ৮৩ শতাংশ বল পজেশন ছিল বার্সার। গোল লক্ষ্য করে ২১ টি শট নিয়েছিলেন তারা। তার মধ্যে অধিনায়ক লিও মেসির শট ছিল ৬ টি। নিজের বেশিরভাগ শটই তেকাঠির মধ্যে রেখেছিলেন বার্সা অধিনায়ক। সারা ম্যাচে অসংখ্য ড্রিবলও করেছেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত লাভ হয়নি। লিগে ১০ টি ম্যাচ খেলে ৪ টিতেই হেরে ১৪ নম্বরে রইলো বার্সা।
বার্সা হারলেও শক্তিশালী সেভিয়ার বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয় পেল রিয়াল মাদ্রিদ। চোটের জন্য অনেক তারকাকেই পায়নি রিয়াল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কষ্ট করে হলেও জয় অর্জন করলো জিদানের ছেলেরা। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে ভিনিসিয়স জুনিয়রকে আটকাতে গিয়ে নিজের জালেই বল জড়িয়ে দেন সেভিয়া গোলরক্ষক ইয়াসিন বওনৌ। তারপর গোটা ম্যাচে চেষ্টা করেও সমতা ফেরাতে পারেনি সেভিয়া। বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুরুশিয়া মুনচেনগ্ল্যাডব্যাকের সাথে মরণবাঁচন ম্যাচ রিয়ালের। সেদিন জিততে না পারলে এবছর গ্রূপ স্টেজ থেকেই বিদায় রিয়ালের। সেই ম্যাচে জিততেই হবে এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই জয় আত্মবিশ্বাস বাড়াবে রয়্যাল হোয়াইটসদের। অপরদিকে বার্সাকে সপ্তাহের মাঝে খেলতে হবে জুভেন্তাসের বিরুদ্ধে। ২ বছর বাদে রোনাল্ডো-মেসি দ্বৈরথ দেখতে আগ্রহী সারা বিশ্বের ফুটবল প্রেমীরা।