দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ সিডনিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। বেশকিছু পরিবর্তন ছিল আজ দুই দলেই। চোটের কারণে বাইরে ছিলেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। অস্ট্রেলিয়া দলের বাইরে ছিলেন স্টার্ক এবং হেজেলউডও।অন্যদিকে ভারতীয় দল থেকে জাদেজার স্থানে চাহাল ছাড়াও মোহাম্মদ শামির বদলে আসেন শার্দুল ঠাকুর এবং মনিশ পান্ডের বদলে আসেন শ্রেয়াস আইয়ার। টসে জিতে আজ প্রথম বিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ম্যাথু ওয়েড এর ৫৮ এবং স্টিভ স্মিথের ৪৬ রানের দৌলতে আজ ১৯৪ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা খাড়া করে অস্ট্রেলিয়া।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আজ তেমন আক্রমনাত্মক শুরু করতে পারেননি শিখর কিংবা রাহুল। তবে তৃতীয় ওভার থেকেই খোলস ছাড়তে শুরু করেন দুই ব্যাটসম্যান। অ্যান্ড্রুর বলে ফ্রি হিট থেকে শুরু করে ম্যাক্সওয়েলের বলেও দুরন্ত ১৯ রান তুলে নেন দুজনে।তাদেরই দুরন্ত ব্যাটিংয়ের দৌলতেই প্রথম পাঁচ ওভারেই ৫৬ রানে পৌঁছে যায় মেন ইন ব্লু। ম্যাক্সওয়েল, টাই কিংবা অ্যাবোর্ট কেউই আজ রেহাই পাননি এই মারমুখী জুটির হাত থেকে। কিন্তু মাত্র ২২ বলে দুটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ৩০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে অ্যান্ড্রু টাইয়েরই শিকার হন রাহুল। ফলত বড় রান তাড়া করতে নেমে ভারতকে বড় লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব এসে পড়ে বিরাট কোহলি এবং শিখরের কাঁধে। তবে নিজের ব্যাটিংয়ে আজ উইকেট পতনের কোন প্রভাব পড়তে দেননি শিখর ধাওয়ান।
গত ম্যাচের ট্রাজিক নায়ক অনরিকেসকেও আজ দুর্দান্ত স্কয়ার কাটে সে কথা বুঝিয়ে দেন তিনি। গত ম্যাচে আউট হলেও আজ লেগস্পিনার সুইপসনের সামনে কোন ভুল করেননি কোহলি।অন্যদিকে তৈরি ছিলেন শিখরও।অযথা ঝুঁকি না নিয়ে বড় মাঠের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একরানকে দুরান করার কাজে মন দেন তারা। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩৪ বলে চারটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে নিজের বিধ্বংসী অর্ধশত রান পূর্ণ করেন ধাওয়ান। কিন্তু ইনিংসকে আরো বেশি লম্বা করার আগেই সীমানার ধারে লেগ স্পিনার জ্যাম্পার শিকার হন তিনি। ফলে সঞ্জু স্যামসন এবং কোহলির ওপর দায়িত্ব ছিল ইনিংসকে শেষ অবধি টেনে নিয়ে যাওয়ার। দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন দুজনেই। একদিকে যেমন জ্যাম্পার ওপর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন কোহলি অন্যদিকে স্যামসের বলে পরপর বড় শট তুলে নেন সঞ্জু।কিন্তু সুইপসনের বল আজ বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে পারেননি তিনি। ফলে ১৫ রানেই স্মিথের হাতে বন্দী হন তিনি।
যদিও সিরিজ জুড়ে ভালো ফর্মে ছিলেন হার্দিক কিন্তু খারাপ সময় উইকেট পতনের জেরে ফের চাপে পড়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু আজ সত্যি যেন অন্যমেজাজে ছিলেন বিরাট। যেভাবে আজ ১৫ তম ওভারে টাইয়ের বলে সুন্দর স্কুপ শটে ওভার বাউন্ডারি তুলে নেন তিনি তা ছিল সত্যি অনবদ্য। একই ওভারে আরো দুটি সুন্দর বাউন্ডারিও তুলে নেন তিনি। আজ তার স্ট্রাইকরেটও ছিল দেখবার মত। কিন্তু মাত্র ২৪ বলে দুটি বাউন্ডারি ও দুটি ছয় দিয়ে সাজানো বিধ্বংসী ৪০ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে স্যামসের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
জয়ের জন্য তখনো দরকার ছিল ৪৫ রান এবং হাতে ছিল মাত্র ২৩ বল। হার্দিক এবং শ্রেয়াসের দরকার ছিল খেলাটিকে শেষ অবধি টেনে নিয়ে যাওয়া।১৮ তম ওভারে জ্যাম্পার বলে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন শ্রেয়স।পরপর একটি ছয় ও একটি চার দিয়ে ব্যাবধান কমিয়ে আনেন তিনি। শেষ দু ওভারে ভারতের তখনো দরকার ছিল ২৫ রান। টাইয়ের বলে হার্দিক পরপর দুটি বাউন্ডারি তুলে নেওয়া সত্ত্বেও শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ১৪ রান।কিন্তু ওভারের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে বড় ছয় মেরে ম্যাচ জিতিয়ে দেন হার্দিক।