দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ বাড়ল সৌরভ গাঙ্গুলী এবং জয় শাহর কার্যকাল। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়াদ শেষ হবার সময় ছিল সেপ্টেম্বর। কিন্তু লকডাউন ও তৎপরবর্তী বিষয়গুলির জন্য সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ থাকায় এখনো কার্যকাল শেষ হয়নি সৌরভ গাঙ্গুলী কিংবা জয় শাহর। ২৪ ডিসেম্বর বোর্ডের বৈঠকের আগে হয়তো কিছু সিদ্ধান্ত আসতে পারতো কিন্তু আপাতত সুপ্রিম কোর্ট ছুটি থাকায় জানুয়ারির ১ তারিখ পর্যন্ত বেড়ে গেল বিসিসিআইয়ের কার্যকাল।
আসলে বিসিসিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, প্রশাসক রূপে ছবছর একটানা কাজ করার পরে আবশ্যিক কুলিং অফ পিরিয়ডের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় প্রত্যেক প্রশাসককেই। সৌরভ গাঙ্গুলীও এর ব্যতিক্রম নন। এর আগে শিবির সঙ্গে প্রশাসক হিসেবে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন তিনি। এই কারণেই একবছর বিসিসিআই এ কাজ করার পর আবশ্যিক কুলিং অফ পিরিওডে যাওয়ার কথা ছিল সৌরভ এবং জয় শাহর। কিন্তু লকডাউন এবং নানা বিষয়ের কারণে এখনো এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। তাই প্রশাসক হিসেবে এখনো বোর্ডে রয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলী। যদিও অনেক বিশ্লেষকের মতে এই আবশ্যিক কুলিং অফ পিরিয়ড নাও লাগু হতে পারে সৌরভ গাঙ্গুলীর ক্ষেত্রে। কিন্তু একথা ঠিক যে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট।
আপাতত সুপ্রিমকোর্টের ছুটি চলাকালীন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আরো পিছিয়ে গেছে। তাই অন্তত এ বছরের শেষ অবধি বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের আসন ধরে রাখবেন সৌরভ। হয়তোবা তার পরেও প্রশাসনিক পদে সৌরভকে দেখা যেতে পারে তবে সে ধোঁয়াশা এখন জল্পনা স্তরেই রয়েছে। ইতিমধ্যেই রামচন্দ্র গুহর মত অনেক প্রাক্তন বোর্ড প্রশাসক বলতে শুরু করেছেন নানা কথা। এমনকি এও শোনা যাচ্ছে, সৌরভ নাকি নিজের পদাধিকার ও রাজনৈতিক মদত কাজে লাগাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট পদে টিকে থাকার জন্য। তবে বিতর্ক মহারাজের সঙ্গী সর্বদাই। তাই আগামী দিনে কি সিদ্ধান্ত আসে সেটাই এখন দেখার।