দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ অন্নদাতাদের উপর কোন রকম অত্যাচার সহ্য করা হবে না একথা কিছুদিন আগেই ঘোষণা করেছিলেন পদ্মশ্রী তথা অর্জুন পুরস্কারে সম্মানিত ভারতীয় অ্যাথলিটরা। তারা জানিয়েছিলেন, পদক ফিরিয়ে দিতে দিল্লি গিয়ে রাস্ট্রপতির সাথে দেখা করবেন তারা। কিন্তু তাদের সেই দিল্লি অভিযান আটকে দিল দিল্লি পুলিশ। এর মধ্যে অবশ্য ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন খেলোয়াড়দের কাছে আর্জি জানিয়েছিল, তারা যেন কেন্দ্রীয় সরকারের উপর বিশ্বাস রাখেন খেলা এবং আন্দোলনকে এক করে না দেখেন। আইওএ প্রেসিডেন্ট নারিন্দার বাত্রা এবং যুগ্ম-সচিব রাজিব মেতা এক প্রেস বিবৃতিতে জানান, “অনেক ক্রীড়াবিদই তাঁদের পুরস্কার ফিরিয়ে দিতে চাইছেন। জাতীয় পুরস্কার আর কৃষক বিক্ষোভ দু’টো পৃথক বিষয়”।
কিন্তু সেই আশ্বাসে কোনো কাজ হয়নি। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন দুবার এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক জয়ী কুস্তিগীর কর্তার সিংহ। শুধু এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদকই নয়, ১৯৮২ সালে অর্জুন পুরস্কার এবং ১৯৮৭ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় এই খ্যাতনামা কুস্তিগীরকে। তার সাথে এই আন্দোলনে ছিলেন অলিম্পিকে সোনাজয়ী হকি প্লেয়ার গুরমিল সিং এবং মহিলা হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক রাজবীর কৌর। ২০১৪ সালে গুরমিলকে ধ্যানচাঁদ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। ১৯৮৭ সালে অর্জুন পুরস্কার পান রাজবীর।
এদিন কর্তার বলেন, ‘‘কৃষকরা সব সময়ই আমাদের সাহায্য করেন। ওঁদের উপর যখন লাঠিচার্জ হয়, ওঁরা যখন রাতের পর রাত এই ঠান্ডায় খোলা আকাশের নীচে কাটান, তখন সত্যিই কষ্ঠ হয়। সব চেয়ে বড় কথা, আমি একজন কৃষকের সন্তান। নিজে পুলিশের আইজি হওয়া সত্ত্বেও এখনও কৃষিকাজ করি।আমি চাই ওই তিন কড়া আইন প্রত্যাহার করা হোক। গোটা দেশ যখন করোনার ভয়ে কাঁপছে, তখন এই আইন করা হল। কেন এমন কড়া আইন করা হল?’’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রবিবার রাতে দিল্লি পৌঁছে প্রেসক্লাব থেকে যাত্রা শুরু করেন তারা। কিন্তু কৃষি ভবনের কাছাকাছি আসতেই তাদের অভিযান রুখে দেয় দিল্লি পুলিশ।