দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে সিডিতে মাঠে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত। টসে জিতে এদিন আবারও বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি। ইতিমধ্যেই প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজ পকেটস্থ করেছে ভারতীয় দল। তাই আজ তাদের চোখে ছিল অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বপ্ন।
শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। একদিকে ওয়েড গতদিনের মারমুখী মেজাজ বজায় রাখলেও চোট সারিয়ে দলে ফিরে আজ তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি ফিঞ্চ। ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে খাতা খোলার আগেই হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ফলে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নারের অভাব ওয়েড কিছুটা পূরণ করলেও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ আজ দ্রুত সাজঘরে ফেরায় স্টিভ স্মিথের ওপর আরো বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া দল। তবে অন্যদিকে ম্যাথু ওয়েড তার ব্যাটিংয়ে উইকেট পতনের কোন প্রভাব পড়তে দেননি। গত দিনের মতোই আজও দীপক চাহারের বলে মারমুখী হয়ে ওঠেন তিনি। বিশেষত শর্ট বলে আজও তিনি ছিলেন ভীষণ সক্রিয়।অন্যদিকে আজ যোগ্য সঙ্গ দেবার চেষ্টা করেন স্মিথও।
দুজনেই আজ ভীষণ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যাটিং করেন। বিশেষত চাহালের বিরুদ্ধে যেভাবে স্থিরতার সাথে বড় মাঠের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একরানকে দুরানে পরিবর্তন করার চেষ্টা করেন তাঁরা তা ছিল অনবদ্য। বিশেষত উইকেট শিকারী সুন্দরকেও আজ একটুও রেহাই দেননি ওয়েড। কিন্তু দশম ওভারে স্টিভ স্মিথকে জীবনদান দেন কে এল রাহুল। সুন্দরের বলে স্টাম্পিং মিস করেন তিনি। কিন্তু বেশিক্ষণ ইনিংস বড় করতে পারেননি স্মিথ। একই ওভারে ব্যক্তিগত ২৪ রানে বোল্ড হন তিনি।
কিন্তু অন্যদিকে মাত্র ৩৪ বলে সাতটি চারের সাহায্যে লাগাতার সিরিজে নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক পূর্ণ করেন ম্যাথু ওয়েড। গত দু’দিন সেভাবে না খেললেও আজ শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন ম্যাক্সওয়েলও। অন্যদিকে শার্দুল ঠাকুর আসার পর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন ম্যাথু ওয়েড। শর্ট আর্ম জ্যাবে তার প্রথম বলেই দুরন্ত ওভার বাউন্ডারি তুলে নেন তিনি। লাগাতার এই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের জেরেই ১২ ওভারেই শতরান পূর্ণ করে অস্ট্রেলিয়া দল।
এমনিতেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কারণে চাপে ছিল টিম ইন্ডিয়া তার ওপর আবার আজ চাহালের বলে আউট হবার পরেও নো-বলের কারণে বেঁচে যান ম্যাক্সওয়েল। তবে এক প্রান্তে ম্যাক্সওয়েল সুযোগ দিলেও অন্যপ্রান্তে ওয়েড ছিলেন স্বকীয় ভঙ্গিমায়।বিশেষত শার্দুল ঠাকুরের বলে আজ বেশিই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তিনি অন্যদিকে জীবন দানের যথাযথ ফায়দা তুলে চাহালের বলে পরপর দুটি ওভার বাউন্ডারি তুলে নেন ম্যাক্সওয়েল। ফলে ১৬ ওভার শেষে দু উইকেটের বিনিময়ে ১৪৫ রানে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।
এমনকি ১৭ তম ওভারে ১২ রান তুলে নিতে কোন অসুবিধা হয়নি তাদের। গোটা ওভার ভালো বোলিং করলেও শেষ বেলায় ম্যাক্সওয়েলের কাছে ওভার বাউন্ডারি খেয়ে যান শার্দুল। আজি রেহাই পাননি নটরাজনও। তার ওভার বাউন্ডারি মেরেই মাত্র ৩১ বলে তিনটি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে নিজের বিধ্বংসী অর্ধশত রান পূর্ণ করেন ম্যাক্সওয়েল। ভাগ্যের সাথ আজ তিনি পেয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু তা ব্যবহার করতে কোন ভুল করেননি। শেষ পর্যন্ত ১৯ তম ওভারে ৫৩ বলে সাতটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে দুরন্ত ৮০ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে শার্দুল ঠাকুরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান ম্যাথু ওয়েড। শেষ ওভারে নটরাজনের বলে বোল্ড হয়ে ৫৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস শেষ করেন ম্যাক্সওয়েল। শেষ ওভারে আজ রান আউট হয়ে ফিরে যান ডার্সিও। ফলে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৬ রানেই শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।