দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ কাল গভীর রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রূপ পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল জুভেন্তাস ও বার্সেলোনা। দুই দলেরই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো পর্বে যাওয়া নিশ্চিত ছিল। লড়াইটা ছিল গ্রূপশীর্ষে থেকে নক-আউটে যাওয়া নিয়ে। গ্রূপশীর্ষে থাকার জন্য জুভেন্তাসের বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে হারানোর প্রয়োজন ছিল, কারণ ঘরের মাঠে তাদের বার্সার কাছে হারতে হয়েছিল ২-০ ফলে। ওই ম্যাচে একটি গোল এবং একটি এসিস্ট করে নায়ক হয়েছিলেন মেসি। যদিও তুরিনের ওই ম্যাচে মাঠে ছিলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
আরও পড়ুন- সবুজ মেরুণ শিবিরের হার চিন্তা বাড়ালো ইস্টবেঙ্গলেরও
এদিন খেলার শুরুতে বল যথাসম্ভব নিজের দখলে রেখে আক্রমণ শানায় জুভেন্তাস। বার বার বিপজ্জনক জায়গায় উঠে আসতে থাকেন রোনাল্ডো, মোরাতারা। অপরদিকে বার্সার অবস্থা তখন তথৈবচ। ১৩ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের ভেতর বিপজ্জনক হয়ে ওঠা রোনাল্ডোকে আটকাতে গিয়ে জুভেন্তাসকে পেনাল্টি দিয়ে বসেন তরুণ বার্সা ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউসো। গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন ক্রিশ্চিয়ানো। তার ঠিক ৭ মিনিট পড়ে রোনাল্ডোকে সকলে মিলে মার্ক করতে গিয়ে বাকি জুভেন্তাস প্লেয়ারদের বক্সে ফাঁকায় ছেড়ে দেয় বার্সা ডিফেন্স। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দূর্দান্ত ভলিতে ২-০ করে যান ওয়েস্টন ম্যাকেনি। এরপর থেকে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে ওঠে বার্সা। কিন্তু প্রথমার্ধে স্কোরলাইন অপরিবর্তিত থাকে।
দ্বিতীয়ার্ধে পুরোপুরি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বার্সেলোনা। জুভে ডিফেন্সের মাঝে তান্ডব শুরু করেন লিওনেল মেসি। কিন্তু বার্সার যাবতীয় প্রচেষ্টা আটকে যায় বুফনের দস্তানায়। ৪২ বছর বয়সী গোলরক্ষক নিজের জীবনের সেরা ম্যাচগুলির মধ্যে একটি খেলেন শেষ রাতে। এরমধ্যে বক্সের ভেতর বার্সা ডিফেন্ডার লংলে হ্যান্ডবল করায় আরও একবার পেনাল্টি পায় জুভে। গোল করতে ভুল করেননি জুভে। শেষপর্যন্ত মেসিরা মরিয়া চেষ্টা চালালেও স্কোরলাইন বদলায়নি। গ্রূপশীর্ষে থেকে নক-আউটে পৌঁছয় জুভেন্তাস।
এই জয়ের সাথে সাথে আরও একটি মাইলফলকে পৌঁছন রোনাল্ডো। ক্লাব কেরিয়ারে নিজের ৬৫০ তম গোলটি তুলে নেন তিনি। সেই সঙ্গে বার্সার বিরুদ্ধে তার গোলসংখ্যা দাঁড়ালো ২০। অন্য কোনও খেলোয়াড় বার্সেলোনার বিরুদ্ধে এত গোল করেননি। অপরদিকে রেকর্ড গড়লেন মেসিও। মঙ্গলবার রাতে তিনি মোট ১১ টি শট টার্গেটে রাখলেও কোনও গোল আসেনি। পরিসংখ্যান বলছে একবিংশ শতাব্দীতে এতগুলি শট টার্গেটে মেরেও গোল না পাওয়ার মতো ঘটনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘটেনি। এখন দেখার দুই মহাতারকার দলের সামনে শেষ ষোলো পর্যায়ে কোন দল পড়ে।