দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইএসএলে মুখোমুখি হয়েছিল ফর্মে ফেরা জামশেদপুর এবং ছন্দ হাতড়ে বেড়ানো ইস্টবেঙ্গল। লাল হলুদ শিবিরের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি আইএসএলে। সমর্থকরাও ক্রমেই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন দলটাকে নিয়ে। তবে আজ প্রথম একাদশে ছিল চোখে পড়ার মতো কয়েকটি পরিবর্তন। গোলরক্ষক হিসাবে ইস্টবেঙ্গল জার্সি গায়ে এদিন অভিষেক হয় শঙ্কর রায়ের। মরশুমে প্রথমবার প্রথম একাদশে জায়গা পান রফিক, লিংডো এবং জেজে। অপরদিকে জামদেশপুর এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলা দলটাই প্রায় অপরিবর্তিত রেখেছিল।
আরও পড়ুন:-ন্যু ক্যাম্পে বার্সার দর্প চূর্ণ করলেন রোনাল্ডো, দুর্দান্ত খেলেও গোল করতে ব্যর্থ মেসি
ম্যাচের ৩৭ সেকেন্ডের মধ্যেই বিপজ্জনক একটি আক্রমণ শানায় ইস্টবেঙ্গল। অল্পের জন্য অনিকেত যাদবের ক্রসের সাথে সংযোগ করতে পারেননি এক জামশেদপুর ফরোয়ার্ড। ২ মিনিটের মধ্যে প্রথম কর্নার পায় জামশেদপুর। কিন্তু তার থেকে বিপদ হয়নি। ৫ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত আক্রমণ থেকে ফের গোল তুলে নেওয়ার সহজ সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয় জামশেদপুর। এরপর বেশ কয়েকটি সেট পিস পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ১৮ মিনিটে একবারের জন্যও আক্রমণে জামশেদপুরকে সমস্যায় ফেলতে পারেনি লাল হলুদ শিবির। ১৯ মিনিটে পিলকিংটন একটি সুযোগ তৈরি করলেও জেজে গোল করতে ব্যর্থ হন। ২৩ মিনিটে আবারও জঘন্য রেফারিংয়ের শিকার হয় ইস্টবেঙ্গল। সম্পূর্ণ বিনা কারণে প্রথমে বলে পা লাগিয়ে তারপর ডিফেন্ডারের পায়ে পা লাগলেও লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। এমনিতেই অফফর্ম তারপর একজন কমে গিয়ে পুরোপুরি বেকায়দায় পড়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ২৮ মিনিটে ভালস্কিসের দুরন্ত ভলি একটুর জন্য বাইরে যায়। এরপর ইস্টবেঙ্গল নিজেদের মধ্যে একটু পাস থেকে ম্যাচের গতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। মাঝমাঠে স্টেইনম্যান দুর্দান্ত খেললেও তাতে লাভ হয়নি। ৩৭ মিনিটে এজের হেড পোস্টে লেগে ফেরে। কোনওক্রমে সাময়িক রক্ষা পায় ইস্টবেঙ্গল। ৪০ মিনিটে ভালস্কিসের হেড বাঁচান শঙ্কর। তারপর প্রায় ৫০ গজ দৌড়ে একটা শট নেন পিলকিংটন। কিন্তু শটে জোর না থাকায় অসুবিধে হয়নি রেহনেশের। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ভাবে।
দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের পুরোপুরি ডিফেন্সের মোড়কে মুড়ে ফেলে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ১৫ মিনিটে পেশিতে টান লেগে উঠে যেতে বাধ্য হন শঙ্কর রায়। তার বদলে দেবজিৎকে নামাতে বাধ্য হন ফাওলার। জামশেদপুর এরপর থেকে টানা আক্রমণ করে যায়, ইস্টবেঙ্গলের একমাত্র কাজ ছিল দলবদ্ধভাবে রক্ষণ সামলানো। ৬৮ মিনিটে আলেকজান্ডারের শট ক্রসপিসে লেগে বাইরে যায়। তারপর থেকে দু একবার আক্রমণের উঠার চেষ্টা করেন ইস্টবেঙ্গল। ৮২ মিনিটে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম কর্ণার প্রায় ইস্টবেঙ্গল। যদিও তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ৮৫ মিনিটে নেভিলের হেড বাইরে যায়। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ম্যাঘোমাকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লালদিয়ানা। শেষপর্যন্ত গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়ে দুই দল