দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজকের ম্যাচে ফের জয়ের সরণিতে ফিরতে মরিয়া ছিল সবুজ মেরুন শিবির। দলে শুভাশিসের বদলে জায়গা পান তরুণ ফুটবলার সুমিত রাঠি। অপরদিকে আরিদানে-কে ছাড়াই মাঠে নামতে হয় হায়দরাবাদ-কে। চারটি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জয় পেয়েছিল মোহনবাগান। অপরদিকে আইএসএল ২০২০-২১ এ তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলে হারের মুখোমুখি হয়নি হায়দরাবাদ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের অপেক্ষায় ছিল ফুটবল প্রেমীরা।
আরও পড়ুন:-কন্যাশ্রী কাপে জয় ইস্টবেঙ্গলের, তৃপ্তি পেলেন সমর্থকরা।
[21:25, 11/12/2020] ঋতব্রত: প্রথমার্ধের ৫ মিনিট থেকেই খেলা জমে ওঠে। হায়দরাবাদ দু-একটি আক্রমণ করলেও অরিন্দমকে সমস্যায় পড়তে হয়নি। ৬ মিনিটে প্রবীরের পাস থেকে টো-পোক করে গোল করার চেষ্টা করেন রয় কৃষ্ণা। কিন্তু সুব্রত পাল পরাস্ত হননি। অন্য দিনের চেয়ে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক দেখায় মোহনবাগানকে। ৮ মিনিটে কৃষ্ণার হেডার দুর্দান্তভাবে বাঁচান সুব্রত। ১২ মিনিটে কোলাকোর হেড অল্পের জন্য বাইরে যায়। হায়দরাবাদের আক্রমণের সময় রক্ষণে পায়ের জঙ্গল তৈরি করেছিল এটিকে মোহনবাগান। ফলে আক্রমণে উঠলেও সমস্যা তৈরি করতে পারছিল না হায়দরাবাদ। ১৭ মিনিটে সেটপিস থেকে অল্পের জন্য গোল মিস করেন কৃষ্ণা। বার বার হায়দরাবাদ রক্ষণকে সমস্যায় ফেলেন তিনি। অপরদিকে তরুন ফুটবলার লেস্টন কোলাকো বল ধরলেই অস্বস্তিতে পড়ছিলেন সন্দেশ, তিরিরা। ২৭ মিনিটে নিখিল পূজারীর চিপ অল্পের জন্য বাইরে যায়। তার ঠিক কয়েক সেকেন্ড পরে প্রবীরের শট ফের একবার বাঁচান সুব্রত পাল। ৩৫ মিনিটে আবারও দুর্দান্ত দুটি সেভ করেন সুব্রত। ৪৫ মিনিটে ইন্মানের রান দুর্দান্তভাবে থামান আবারও সেই সুব্রত। প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে বিপজ্জনক ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন প্রবীর দাস। শেষপর্যন্ত আরও একদিন প্রথমার্ধে গোল করতে ব্যর্থ হয় এটিকে মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে চাপ বাড়ায় মোহনবাগান। মাঠে নামেন ডেভিড উইলিয়ামস। ৫০ মিনিটে বিপজ্জনক কাউন্টার এসে অল্পের জন্য গোল মিস করে হায়দরাবাদ। কিন্তু অবশেষে ৫৪ মিনিটে আসে সেই বহুকাঙ্খিত মুহূর্ত। ৪ জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে সুব্রত পালের মাথার ওপর দিয়ে দুর্দান্ত ফিনিশ করে যান মনবীর সিং। যদিও হায়দরাবাদের ডিফেন্সের ব্যর্থতাই ছিল গোলটির মূল কারণ, তবু মনবীরের কৃতিত্বকে ছোট করা যায় না। এরপর নিজেদের ডিফেন্সকে নিশ্ছিদ্র করে তোলে এটিকে মোহনবাগান। ডিফেন্সে জোর বাড়াতে ৬৩ মিনিটে এডু গার্সিয়ার বদলে প্রণয়কে মাঠে আনেন হাবাস। কিন্তু ঠিক তার লরের মুহূর্তেই সেই মনবীরের ফাউল থেকে পেনাল্টি পায় হায়দরাবাদ। গোল করতে ভুল করেননি জোয়াও ভিক্টর ব্রুনো। অনেক তাড়াতাড়ি রক্ষনের মোড়কে চলে যাওয়ার কুফল বলে গণ্য করা যেতে পারে এই ঘটনাকে। এরপর বারংবার আক্রমণে উঠতে থাকে হায়দরাবাদ। ৭১ মিনিটে দুর্দান্ত প্রতি আক্রমণ শানায় এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু সেই আক্রমণ ও তার পরের কর্নারটিও দুর্দান্তভাবে বাঁচান সুব্রত। এরপর খেলা হয় সমানে সমানে। মাঝেমাঝেই মাঝমাঠ থেকে দূরপাল্লার শট নিতে থাকে হায়দরাবাদ। শেষলগ্নে চাপ আরও বাড়ায় হায়দরাবাদ। কিন্তু এটিকে মোহনবাগান ডিফেন্সও ছিল জমাট। আরিদানে, সান্তানাকে ছাড়াই যেভাবে আক্রমণ করে হায়দরাবাদ, তা রীতিমতো প্রশংসাযোগ্য। শেষপর্যন্ত ১-১ ফলেই শেষ হয় ম্যাচ। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ম্যাচের সেরা হন লিস্টন কোলাকো।