দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ নভেম্বর মাসটা খুব একটা ভাল যায়নি রিয়াল মাদ্রিদের। লা লিগায় হারতে হয়েছিল ভ্যালেন্সিয়া, দিপোর্তিভ অ্যালাভেসের কাছে। জয় হাতছাড়া হয়েছিল ভিল্লারিয়েলের বিরুদ্ধে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শাখতার ডনেস্কের কাছে হেরে নক-আউটে পৌঁছনো নিয়ে সংশয় তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তার ওপর ডিসেম্বরের শুরুতেই লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে পরপর সেভিয়া, বুরুশিয়া মুনচেনগ্ল্যাডব্যাক এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মতো শক্তিশালী ক্লাবগুলির বিরুদ্ধে ম্যাচ থাকায় চিন্তায় ছিল ভক্তরা।
আরও পড়ুন:- অবশেষে স্বস্তি, চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকার এবার ইস্টবেঙ্গলে
কিন্তু কালকে মাদ্রিদ ডার্বি জিতে তিনটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষকেই মাত দিয়ে নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে সক্ষম হলো জিদানের শিষ্যরা। ৫ ই ডিসেম্বর সেভিয়ার বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর সেভিয়া গোলরক্ষকের আত্মঘাতী গোলে ম্যাচ জিতে নেয় রিয়াল। তারপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মদ্রিচ, বেনজেমাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জেরে মুনচেনগ্ল্যাডব্যাককে হারিয়ে গ্রূপশীর্ষে থেকে নক-আউটে পৌঁছয় রিয়াল। এরপর গতকাল গভীর রাতে শহরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে পরাস্ত করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের অবস্থান অনেকটাই শুধরে নিলো সার্জিও র্যামোসরা।
কালকে রাতের ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলে ৩ নম্বরে উঠে এল রিয়াল মাদ্রিদ। সেই সঙ্গে চলতি লা লিগায় প্রথম ম্যাচ হারলো অ্যাটলেটিকো। যদিও এই ম্যাচ হেরেও রিয়ালের থেকে এক ম্যাচ কম খেলে তাদের থেকে তিন পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে জোয়াও ফেলিক্সরা। কালকের ম্যাচে প্রথমার্ধর ১৫ মিনিটে ক্রুসের কর্নার থেকে হেড করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন ক্যাসেমিরো। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলে। বেনজেমার শট পোস্টে না লাগলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। দ্বিতীয়ার্ধে কয়েকটি ভালো গোল করার সুযোগ নষ্ট করে অ্যাটলেটিকো। এরপর ৬২ মিনিট নাগাদ রিয়াল রাইট ব্যাক কার্ভাহালের দূরপাল্লার শট প্রথমে পোস্টে লেগে তারপর অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষক ওবল্যাকের পিঠে লেগে গোল ঢুকে যায়। এরপর ৮০ মিনিটে সাউলের হেড বাঁচায় রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কুর্তুয়া। শেষপর্যন্ত ম্যাচ শেষ হয় ২-০ ফলে। ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল সোসিয়াদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে রিয়াল মাদ্রিদ। দুর্দান্ত ফুটবল খেলে ম্যাচের সেরা টনি ক্রুস।