দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইএসএলে দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল সাদার্ন ডার্বি। মুখোমুখি হয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্স এবং বেঙ্গালুরু এফসি। বরাবরই কেরালার বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠার প্রবণতা দেখিয়েছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। চলতি আইএসএলে এই ম্যাচের আগে অবধি তেমন কিছু করে উঠতে পারেননি সুনীল। ৪ টি ম্যাচ খেলে করেছিলেন একটি গোল ও একটি এসিস্ট। আজ তার ওপর থেকে চাপ কমিয়ে নিতে শুরু থেকেই গত ম্যাচে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অপসেথ-কে শুরু থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। অপরদিকে আক্রমণে গ্যারি হুপারের সাথে জর্ডান মারেকে জুড়ে দিয়েছিলেন কেরালা কোচ কিবু ভিকুনা।
আরও পড়ুন:- মাদ্রিদ ডার্বিতে অ্যাটলেটিকো বধ রিয়ালের, ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলে ৩ নম্বরে উঠে এলো টনি ক্রুসরা
ম্যাচের শুরুতে দুই দলই বেশ কিছু সেটপিস পেয়ে যায় বিপজ্জনক জোনে। কিন্তু দুই দলই তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। এরপর সমানে সমানে খেলা চলতে থাকে। ১৪ মিনিটে জর্ডান মারের দুর্দান্ত শট বাঁচান গুরপ্রীত। তার ঠিক দু মিনিট পরেই দুর্দান্ত প্রতি আক্রমণ থেকে গোল করে যান রাহুল কেপি। তার আগে গ্যারি হুপারের দৌড়টাও ছিল দেখার মতো। একদম সময়মতো বল ছেড়ে রাহুলের জন্য গোলের বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ড্রিংক্স ব্রেকের ঠিক আগে কেরালার ডিফেন্সের ভুলে গোল করে যান সিয়েলটন সিলভা। আজকের ম্যাচে প্রথমবার একসাথে খেলতে নেমেছিল লালরুয়াথারা এবং বাঁকারী কোণে। তাদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবের ফসল ছিল এই গোল। তার ঠিক দু মিনিটের মধ্যে সুনীল ছেত্রীর অসাধারণ পাস থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন অপসেথ। গোল খেতেই কেরালার ডিফেন্স চাপে পড়ে গিয়েছিল। সেই সুযোগে বার বার বেঙ্গালুরু চাপ সৃষ্টি করে তাদের ওপর। প্রথমার্ধর একদম শেষ দিকে সেট পিস থেকে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে কেরালা। অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক প্রথম ৪৫ মিনিট শেষ হয় ১-১ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধের ১ মিনিটের মধ্যে বাঁকারী কোণের ভুল ট্যাকেলে পেনাল্টি পায় বেঙ্গালুরু। কিন্তু সুনীলের পানেনকা কিক বুদ্ধিমত্তার সাথে বাঁচিয়ে দেন অ্যালবিনো গোমস। শেষ কবে পেনাল্টি মিস করেছিলেন সুনীল, মনে করা মুশকিল। কিন্তু তার ৩ মিনিটের মধ্যে আশিক কুরুনিয়ানের নিচু ক্রস থেকে গোল করে যান অপসেথ। আবার ভুল করে কেরালা ডিফেন্স। এখানেই শেষ নয় দ্বিতীয় গোলের ৯০ সেকেন্ড পরে ফের কেরালা ডিফেন্সের ভুল থেকে গোল করে যান দিমাস ডেলগাডো। তিনটি গোলেরই মূল কারণ কেরালার ডিফেন্স। কিন্তু এরপরও ম্যাচে নাটক বাকি ছিল। ৬০ মিনিটে ফাকুন্দো আবেল পেরেইরার সেটপিস থেকে গোল করে যান ভিসেন্তে গোমেজ। কিন্তু তার ঠিক চার মিনিট পরেই টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় গোল করে স্কোরলাইন ৪-২ করে দেন সুনীল ছেত্রী। দুর্দান্ত হেডে গোল করে যান তিনি। এরপর আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে দুই দলই। আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। দু পক্ষই বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়ে যায় কিন্তু কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। শেষপর্যন্ত ম্যাচ শেষ হয় ৪-২ গোলেই।