দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ কিং কোহলির নামের পাশে এতগুলো রেকর্ড হয়তো থাকত না যদিনা ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।ঘটনাটি কি? এক নিভৃত আলাপচারিতায় বিষয়টি সামনে এনেছেন সঞ্জয় মঞ্জরেকার। সেবার অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে ০-৪ এ সিরিজ হেরে ফিরতে হয়েছিল ভারতকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ গিয়ে হতশ্রী পারফরম্যান্স করা বিরাট কোহলি এবারও প্রথম দুই ম্যাচের চার ইনিংসে ছিলেন সুপার ফ্লপ। চার ইনিংসে তার মোট রান সংখ্যা ছিল ৪৩।শুধু তাই নয় দুবার ফিরতে হয়েছিল খাতা খোলার আগেই।
স্বাভাবিকভাবেই কোহলিকে বাইরে রাখার জন্য ধোনিকে পরামর্শ দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু সেদিন তরুণ কোহলিকে বাইরে রাখার কথা ভাবেননি ধোনি। পার্থের তৃতীয় টেস্টে আরো একবার তাকে দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেন তিনি। এবার আর ধোনিকে নিরাশ করেননি বিরাট। প্রথম ইনিংসে ৪৪ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রানের দুরন্ত যোগদান রেখে দলে নিজের জায়গা পাকা করে নেন তিনি। এরপর সামনে ছিল অ্যাডিলেড। সেখানেই নিজের জীবনের প্রথম দেশের বাইরে করা টেস্ট শতরানের স্বাদ পান কোহলি। তবে এসব কিছুই ঘটত না যদি না এমএসডি সেদিন ভরসা করতেন তরুণ কোহলির উপর।
সনি স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় বলেন,”বিরাট কোহলি তো বিরাট কোহলিই সে সমস্ত জায়গায় রানের পথ খুঁজে নেয়। ২০১১-১২ সিরিজে যখন ০-৪ ফলাফলে হেরেছিল ভারত।একমাত্র ভারতীয় হিসেবে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন কোহলি।কোহলি তখন তরুণ ক্রিকেটার। সিডনি টেস্টের পরেই দল থেকে বাদ পড়তে চলেছিল ও।সেদিন ধোনির সমর্থনেই ও পার্থে অর্ধশত রান এবং অ্যাডিলেডে সেঞ্চুরি করে।”
আগামী ১৭ ডিসেম্বর শুরু হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত ভারত অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ। সেই টেস্টও কোহলি বাহিনী শুরু করবে অ্যাডিলেড দিয়েই। তার আগে তাই মঞ্জরেকার সেই স্মৃতিকে আরেকবার চাগিয়ে দিলেন। তবে এবার ঐতিহাসিক অ্যাডিলেডে ডে-নাইট টেস্টে গোলাপি বলে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হতে চলেছে ভারতীয় দল। চ্যালেঞ্জ সম্পূর্ণ আলাদা হলেও সঞ্জয় বলেন,”অ্যাডিলেডে বহু ভারতীয় ব্যাটসম্যান রান পেয়েছেন। এখানকার পিচ অনেকটাই আমাদের মত। গতি আছে কিন্তু বাউন্সার বুক পর্যন্ত ওঠে। কিন্তু এবার যেহেতু গোলাপি বলে দিন রাতের খেলা তাই সমস্ত হিসেব বদলে যেতে পারে। কোহলি কিন্তু ২০১৪ মরসুমে চার-চারটি শতরান করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়।”