দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আইএসএলের শুরুটা ভালো হয়নি মুম্বাইয়ের। কিন্তু পরপর চারটি ম্যাচ জিতে দুর্দান্তভাবে প্রত্যাবর্তন করেছে তারা। আজকের ম্যাচে জিতে পয়েন্টস টেবিলে নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে মরিয়া ছিল তারা। কিন্তু চোটের জন্য হুগো বুমোর অনুপস্থিতি একটু চিন্তা বাড়িয়েছিল মুম্বাই ভক্তদের। কারণ আজ তাদের প্রতিপক্ষ ছিল অনপ্রেডিক্টেবল জামশেদপুর এফসি। ওয়েন কোলের দল টুর্নামেন্টে পুরোপুরি নিজেদের ছন্দ খুঁজে পায়নি। এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে তার পরের ম্যাচে ছন্নছাড়া ইস্টবেঙ্গলকে ১০ জনে পেয়েও হারাতে ব্যর্থ হয় তাড়া। এর থেকেই বোঝা যায় ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগছিল তারা।
আরও পড়ুন:- চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মুখোমুখি হতে পারেন মেসি এবং নেইমার, দেশে ফিরবেন রোনাল্ডো!
ম্যাচের শুরুতে কিছু বিপজ্জনক আক্রমণ তুলে এনেছিল মুম্বাই। কিন্তু গোল আসেনি। উল্টে ওগবেচের মিসপাস ধরে জ্যাকিচন্দ সিং বল বাড়ায় ভালস্কিসকে। গোল করতে কোনও ভুল করেননি তিনি। ৮ মিনিটেই ম্যাচের গতির বিরুদ্ধে গোল করে এগিয়ে গিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে ওয়েন কোলের দল। এরপর বারবার আক্রমণে উঠতে থাকেন তারা। কিন্তু ১৫ মিনিটেই গোল করে মুম্বাইকে সমতায় ফেরায় ওগবেচে। তার ভুলেই গোল খেতে হয়েছিল দলকে। গোল করে সেই ভুলেরই প্রায়শ্চিত্ত করলেন তিনি। এর ঠিক ১ মিনিট পর আবার বিপজ্জনক ওগবেচে শট কোনওরকমে আটকায় জামশেদপুর ডিফেন্স। এরপর দুই পক্ষই চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। ২৭ মিনিটে রেফারির ভুল ডিসিশনে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জামশেদপুরের এইতর মনরয়। এরপর মুম্বাই চাপ বাড়ায়। কোনওরকমে নিজেদের রক্ষনকে জমাট রাখতে সক্ষম হয় জামশেদপুর। ৪০ মিনিটে জ্যাকিচন্দের শট কোনওরকমে বাঁচান অমরিন্দর। শেষপর্যন্ত ১-১ ফলেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে লড়াইটা হয়ে দাঁড়ায় এজে, হার্টলের সাথে গোটা মুম্বাই আক্রমণের। বেশ কয়েকবার বিপজ্জনক জায়গায় এসেও কখনো জামশেদপুরের ডিফেন্ডারদের দক্ষতায় আবার কখনও নিজেদের ভুলে এগিয়ে যেতে ব্যর্থ হয় মুম্বাই। ভয়ংকর মুম্বাই আক্রমণের সামনে কোনওরকমে টিকে থাকে জামশেদপুর। ৭৮ মিনিটে অফসাইডের জন্য ভালস্কিসের গোল বাতিল হয়। এরপর ৮৩ মিনিটে রেহনেশ দুর্দান্ত দুটি সেভ করে দলকে লড়াইয়ে রাখে। ১০ জন হয়েও দুর্দান্ত লড়াই করে জামশেদপুর। শেষপর্যন্ত ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলে।