ইস্টবেঙ্গল প্রতিযোগিতার শুরু থেকে ভুগছে স্ট্রাইকার সমস্যায়। মাঝমাঠে পিলকিংটন, ম্যাঘোমা, স্টেইনম্যান, রফিক, লোকেন-রা ভালো খেললেও, সামনে গোলের লোক পাওয়া যাচ্ছে না। ডিফেন্স নিয়ে যে সমস্যা ছিল, তা আপাতত শেহনাজ-কে স্টপারে খেলিয়ে খানিকটা দূর হয়েছে। এখন এই মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গলের একমাত্র সমস্যা একজন গোলস্কোরারের অভাব। স্বদেশীয় জেজে, বলবন্ত-রা একেবারেই ব্যর্থ বিপক্ষ ডিফেন্সে কোনওরকম চাপ তৈরি করতে।
একজন তরুণ স্ট্রাইকারকে ইস্টবেঙ্গল সদ্য দলে নিয়েছে, কিন্তু তার মাঠে নামতে নামতে বছর শেষ হয়ে যাবে। আরও তিনটি ম্যাচ অন্তত ইস্টবেঙ্গলকে তাদের হাতে থাকা অপশনগুলি নিয়েই চলতে হবে। সেক্ষেত্রে আজ কি অ্যারন আমাদী হ্যালওয়ে-কে মাঠে নামাতে পারেন ফাওলার? সূত্রের খবর এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে যে তিনি সুস্থ এবং অনুশীলনে ফিরেছেন। কিন্তু নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার দাবি করেছেন যে এখনও হ্যালওয়ের মাঠে নামার কোনও সম্ভাবনা নেই। শেষপর্যন্ত কোন খবর সত্যি হয় তা দেখার জন্য অপেক্ষা সন্ধ্যে অবধি।
অপরদিকে হায়দরাবাদের প্রথম একাদশে আজ ফিরতে পারেন আরিদানে। ফলে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দুই বিদেশি নামানোর রাস্তা থেকে সরে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে তিন বিদেশি নিয়ে নামতে পারে হায়দরাবাদ। আর তাদের দেশীয় খেলোয়াড়রাই যেমন ছন্দে রয়েছেন তাতে এটা নিশ্চিত যে তারা যথেষ্ট বেগ দিতে পারেন ইস্টবেঙ্গলকে। এই ম্যাচ হারলে বিদেশিদের সংখ্যা নিয়েও অজুহাত দিতে পারবেন না ইস্টবেঙ্গল কোচিং স্টাফরা। এখন দেখার, সময় মতো খোঁচা খাওয়া বাঘের মতো ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা এসসি ইস্টবেঙ্গল।