দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে দেখা যাবেনা সাকিব আল হাসানকে। এক বছরের নির্বাসনের পর সবে ক্রিকেটে কামব্যাক করেছেন সাকিব। তাই সাকিবের পক্ষেই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু তার শ্বশুরমশাইয়ের অসুস্থতার কারণে সাকিবকে আপাতত যেতে হচ্ছে আমেরিকায়।আর সেই কারণেই। ফাইনালে খুলনার হয়ে মাঠে দেখা যাবে না তাকে।
জেমকন খুলনার ম্যানেজার নাফিস ইকবাল জানিয়েছেন,”শ্বশুরমশাইয়ের দীর্ঘকালীন অসুস্থতার কারণে কালই সাকিবকে বেরিয়ে যেতে হয়। কারণ কাল তিনি জানতে পেরেছেন যে ওনার শারীরিক পরিস্থিতি ভীষণই খারাপ। উনি কাল রাতেই হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন আপাতত উনি এখন ফ্লাইটে।”জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে আসছে ওয়েস্টইন্ডিজ। ক্রিকেট থেকে দীর্ঘকালীন নির্বাসনের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হলে সাকিবের দরকার ছিল দারুণ পারফর্মেন্স করে নির্বাচকদের চোখ টেনে নেওয়া।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু কাপে সেভাবে ব্যাট থেকে রান আসেনি সাকিবের। আপাতত গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে ব্যাটে মাত্র ১১০ রানই এসেছে তার। গড় ১২.২২ এবং স্ট্রাইক রেট ১২০.৮৭।সাকিবের মত খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে এই রেকর্ড যে খুব একটা সুখকর নয় তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। অন্যদিকে বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও ৩৪ ওভারে ২০৪ রান খরচ করে মাত্র ছটি উইকেটই শিকার করতে পেরেছেন সাকিব। তাই কোনো দিক থেকেই তার পারফরম্যান্সকে তেমন সুবিধাজনক বলে মনে হচ্ছে না। এক্ষেত্রে অবশ্যই দরকার ছিল ফাইনালে ম্যাচ জেতানোর মত কিছু একটা করা।
এমনকি টুর্নামেন্ট জুড়ে ছবার তিনি আউট হয়েছেন ছয় মারতে গিয়ে। এরপর তার ছোটবেলার কোচ তথা মেন্টর নাজমুল আবেদিন সংবাদসংস্থা ক্রিকবাজকে জানান, “আমার মনে হয়না হ্যান্ড আই কোয়ার্ডিনেশন নিয়ে ওর কোন সমস্যা হচ্ছে। আমার মনে হয় এই সমস্যাটি পুরোটাই টেকনিক্যাল। ও সেরকম ব্যাট স্পিড তৈরি করতে পারছে না আর সেই কারণেই বারবার সীমানার ধারে ধরা পড়ছে। আমার মনে হয় আরেকটু এই বিষয়ে কাজ করা দরকার।”
তিনি আরো যোগ করেন,”আমার মনে হয় মাটি কামড়ে যেসব শট খেলেছে সেগুলো ভালোই খেলেছে। কিন্তু যখনই ও তুলে খেলতে গেছে তখনই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।”
এক বছরের নির্বাসন সাকিবের আত্মবিশ্বাসে যে বেশ কিছুটা ধাক্কা দিয়েছে একথা মেনে নিয়েছেন কোচ। নাজমুল এদিন বলেন,”ও যেভাবে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ব্যাট করতে আসছে তাতে মনে হচ্ছে এটা দেখে নিতে চাইছে কোন পজিশনটা ওর পক্ষে সব থেকে বেশি ভালো হয়।আমার মনে হয় ওর আরও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকা দরকার। তাহলে ওর আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে। আমার মনে হয় টুর্ণামেন্টে খারাপ প্রদর্শনের জন্য ওর আত্মবিশ্বাসে কিছুটা ধাক্কা লেগেছে।”
সবমিলিয়ে সাকিবের সামনে সমস্যা এখন অনেক এবং সমাধান তাকে খুঁজে পেতে হবে খুব তাড়াতাড়ি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে খেলতে না পারা অবশ্যই এই সমাধান খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে সময়টাকে আরও কিছুটা পিছিয়ে দিল।