দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আর মাত্র কিছুক্ষণ পরেই শুরু হতে চলেছে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বর্ডার গাভাস্কার ট্রফি। আর এই সিরিজে মাত্র একটি সেঞ্চুরি করলেই বিশ্বকাপজয়ী অজি অধিনায়ক পন্টিংকে পেরিয়ে যেতে পারবেন কোহলি। কি সেই রেকর্ড?অধিনায়ক হিসেবে এতদিন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করার রেকর্ড ছিল পন্টিং এবং কোহলির। যুগ্মভাবে দুজনেই ছিলেন তালিকার শীর্ষে। দুজনেরই শত রান সংখ্যা ৪১।তাই আর মাত্র একটি সেঞ্চুরি করলেই পন্টিংকে পেরিয়ে যেতে পারবেন কোহলি।
কিন্তু এই সিরিজে সেই শতরান পূর্ণ করতে হলে কোহলির সামনে সুযোগ রয়েছে মাত্র দুটি। ডে নাইট তেস্ট এর দুটি ইনিংসের মধ্যে অন্তত একটি ইনিংসে থ্রি ফিগারের ম্যাজিক নম্বর ছুঁয়ে ফেলতে হবে কিং কোহলিকে।অন্যদিকে ২০২০ সাল মোটেই ভাল যাচ্ছেনা ভারত অধিনায়ক বিরাটের জন্য। রান মেশিন যেন কিছুটা থমকে গিয়েছেন। ২০০৮ সালের পর এই প্রথম বার বলা যেতে পারে এ ব্যাড ইয়ার ইন অফিস। কারণ এই ক্যালেন্ডার ইয়ারে একটিও আন্তর্জাতিক শতরান আসেনি কোহলির ব্যাট থেকে। তবে কাল অবশ্যই রেকর্ড ভেঙে ফেলার সমস্ত সুযোগ থাকছে কোহলির কাছে। কারণ বছর এখনো শেষ হয়নি তাই শেষ সুযোগ হিসেবে কোহলি কাজে লাগাতে পারেন অ্যাডিলেডের দিন-রাতের টেস্টকে।
লজ্জার রেকর্ড মুছে ফেলতে পারেন নতুন রেকর্ড। যদিও ২০২০ সালে কোভিড প্যানডেমিকের কারণে সেভাবে আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি বিরাট আর সেই কারণেই এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাকে। কিন্তু কাল সম্পূর্ণ সুযোগ থাকছে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপ্টেনের রেকর্ড ভেঙে শীর্ষ স্থান দখল করে নেওয়ার। তবে লড়াই যে মোটেই সহজ হবে না এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। দিনরাতের টেস্টে এমনিতেই সহায়তা পান বোলাররা। তার ওপর হেজেলউডের বলে বেশ কয়েকবার সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে কোহলিকে।যদিও একথা ঠিক যে ফরম্যাট ছিল সম্পূর্ণ আলাদা।কিন্তু গোলাপি এবং লাল বলের ফারাক সামলে এখন কোহলি রেকর্ডের খাতায় নিজের নাম তুলতে পারেন কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে সকলে।
অন্যদিকে ভারতের সামনে গোলাপি বল খেলার অভিজ্ঞতা বলতে শুধুমাত্র ইডেন টেস্ট। প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। তার ওপর গোলাপি বলের প্রস্তুতি ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়া এ দলের বিরুদ্ধে মাঠে নামেননি অধিনায়ক বিরাট। তাই তার পক্ষে লড়াইটা যে আরো অনেকখানি কঠিন এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।