দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ তিন পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়ে আজ মাঠে নেমেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। আত্মবিশ্বাসী হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আজ দলে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করেছিলেন ফাওলার। অপরদিকে হায়দরাবাদ দলে ফিরেছিলেন তাদের মূল স্ট্রাইকার আরিদানে সান্টানা। ইস্টবেঙ্গল দলে আজ স্কট নেভিল কে উইং ব্যাক হিসাবে খেলানো হয় চার জনের ডিফেন্সে। প্রথম দলে জায়গা পেয়েছিলেন সি কে বিনিথ। অপরদিকে প্রথমবারের মতো ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ স্কোয়াডে জায়গা হয়েছিল অ্যারন আমাদী হ্যালওয়ে।
ম্যাচের শুরু থেকে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সের ওপর জাঁকিয়ে বসেছিল ইস্টবেঙ্গল। তাদের মুহুর্মুহু আক্রমণে কাঁপছিল ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স। বেশ কয়েকবার গোলের সামনে পৌঁছে গিয়েছিল হায়দরাবাদের ফরোয়ার্ডরা। প্রথম ২৫ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল একটিও বলার মতো আক্রমণ করতে পারেনি। তারপর ম্যাচের ২৫ মিনিটে দুর্দান্ত দৌড়ে বক্সে ঢুকে ক্রস বাড়ান। সেই ক্রস সুব্রত পাল ফিস্ট করলে তা এসে পড়ে পিলকিংটনের পায়ে। তিনি সেই বল ধরে বাড়ান ম্যাটি স্টেইনম্যানকে। একটা টাচ নিয়েই ক্রস করেন জার্মান ফুটবলার। শট নেন ম্যাঘোমা। সুব্রত পালের নাগালের মধ্যে থাকলেও সেই গতিশীল শট বাঁচাতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে তৈরি হয় ঐতিহাসিক মুহুর্তে। কঙ্গোর ফুটবলারের পা থেকে আইএসএলের ইতিহাসে এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রথম গোল। তারপরে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলা চলতে থাকে। প্রথমার্ধর শেষ দিকে শেহনাজের ভুলে পেনাল্টি পায় হায়দরাবাদ। কিন্তু আরিদানর শট দুর্দান্তভাবে নিজের ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন দেবজিৎ মজুমদার এবং তার পরে পাল্টা আক্রমণ থেকে অল্পের জন্য ২-০ ফলে দলকে এগিয়ে দিতে ব্যর্থ হন সি কে বিনিথ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে উঠে হায়দরাবাদ। কিন্তু তৈরি ছিল ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স। রক্ষণ সামলে আক্রমণেও উঠে আসে ইস্টবেঙ্গল। খেলা চলতে থাকে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে। কিন্তু ৫৫ ও ৫৬ মিনিটে জোড়া গোল করে হায়দরাবাদকে এগিয়ে দেন আরিদানে সান্টানা। প্রথম গোলটি হয় নারায়নের ভুলে। বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি কিক পেয়েছিল হায়দরাবাদ তার ভুলেই। দ্বিতীয় গোলের দায় ম্যাঘোমা, নেভিল, শেহনাজ সকলকে নিতে হবে। গোটা ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ ছিল আজকে চূড়ান্ত রকমের খারাপ। ৬৮ মিনিটে স্কট নেভিলকে নাচিয়ে দুর্দান্ত ক্রস রাখেন লিস্টন কোলাকো। হোলিচরণ নার্জারির ফিনিশ করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। এরপর ম্যাচের দখল পুরোপুরি নিয়ে নেয় হায়দরাবাদ। কিন্তু গতির বিরুদ্ধে ৮১ মিনিটে পিলকিংটনের দুরন্ত ফ্রি কিক থেকে হেডে গোল করে খানিকটা আশা জাগিয়ে তোলেন সেই ম্যাঘোমা। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। বরং ৮৯ মিনিটে হায়দরাবাদের এক প্লেয়ারের শট পোস্টে লাগায় আরও লজ্জার হাত থেকে বেঁচে যায় ইস্টবেঙ্গল। এরপর অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে বেশ কয়েকটি হলুদ কার্ড দেখে ইস্টবেঙ্গল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শেষ হয় ৩-২ গোলে।