দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইএসএলের গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল এফসি গোয়া এবং এটিকে মোহনবাগান। গত দুই ম্যাচের খড়া কাটিয়ে আজ জয়ে ফিরতে মুখিয়ে ছিল সবুজ মেরুন। অন্যদিকে ভালো ফর্মে ছিল ইগর আঙ্গুলোদের গোয়াও।একদিকে যেমন আজ মোহনবাগান এর জন্য বড় খবর ছিল তিরির ফিরে আসা তেমনি আজ শুরু থেকে প্রথম দলে ছিলেন না এডু গার্সিয়া বা প্রবীর দাসেরা। তবে শুরু থেকেই আজ দু’দল ছিল ভীষণআক্রমণাত্মক। সাধারণত প্রথম অর্ধে রক্ষনে বেশি মনোযোগ দেয় হাবাসের দল। কিন্তু আজ শুরু থেকেই যথেষ্ট আক্রমণে উঠে আসে তারা। অন্যদিকে স্বকীয় ভঙ্গিতে ছিল গোয়াও। প্রথম পনেরো মিনিটের মধ্যে একদিকে যেমন নজর কেড়েছিলেন রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামসরা তেমনি অন্যদিকে এডু বেডিয়া, ঈগর আঙ্গুলো, রোমারিওরাও ছিলেন যথেষ্ট সক্রিয়।
তবে দুরন্ত লড়াইয়ের পরেও প্রথমার্ধের প্রথম পর্বে গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোন দলই। বল তেকাঠি পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই একদিকে যেমন তিরি,সন্দেশ ঝিঙ্গান এবং প্রীতম কোটালরা তৈরি করেছিলেন বাধার পাহাড়। তেমনি অন্যদিকে ফার্নান্ডেজ, গামা, ডোনাচিরাও ছিলেন প্রস্তুত। তবে দুই একটা চান্স পেলেও আজ সেভাবে নওয়াজকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি সবুজ মেরুন। ফলতো প্রথম জল পান বিরতি অবধি স্কোর লাইন নিস্ফলাই থেকে যায়। তবে গোল না এলেও আজ মাঝমাঠে বলদখলের লড়াই ছিল ভীষণ উপভোগ্য।কিন্তু প্রথমার্ধের শেষের দিকে দূরপাল্লার শটে সুন্দর সুযোগ তৈরি করেছিলেন ডেভিড উইলিয়ামস। যদিও মহম্মদ নওয়াজ পরাস্ত হলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে বারে লেগে ফিরে আসে শটটি।দু’দল সাধ্যমত চেষ্টা করলেও প্রথমার্ধে গোলের মুখ খুলতে পারেননি কেউই।ফলে বিশ্রাম কক্ষে ফেরা অবধি স্কোরলাইন নিস্ফলাই থেকে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের প্রথামত আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় সবুজ মেরুন। তবে অন্যদিকে বলের দখল নিজেদের পক্ষে বজায় রেখেছিল এফসি গোয়া। ৫২ মিনিটের মাথায় বক্সের খুব কাছাকাছি এলাকা থেকে ফ্রি কিক পেয়ে গিয়েছিল সবুজ মেরুন। কিন্তু বল তেকাঠিতে রাখলেও কাজের কাজ করতে পারেননি ডেভিড উইলিয়ামস। ৫৫ মিনিটের মাথায় সুযোগ তৈরি করেছিল গোয়াও।কিন্তু নাগুয়েরার হেড রুখে দেন অরিন্দম। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই যে আক্রমণে শক্তি বাড়াচ্ছিল এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আজ দুপক্ষের গতিও ছিল দুরন্ত। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় পর্বে আঙ্গুলো ব্র্যান্ডনদের পাশাপাশি অর্টিজকে এনে আক্রমণে আরো ধার বাড়ায় গোয়া। কারণ হাড্ডাহাড্ডি ফুটবল খেললেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোন দলই। দলে এসেই ৭৪ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেছিলেন অর্টিজ। কিন্তু গোলকিপার অরিন্দমের বুদ্ধিমত্তায় শেষ পর্যন্ত দুর্গ রক্ষা করে মোহনবাগান।
কিন্তু ৮৪ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে ডলিংয়ের ভুল ট্যাকেলে পেনাল্টি পেয়ে যায় বাগান। বল জালে জড়িয়ে দিতে কোন ভুল করেননি রয় কৃষ্ণা। ফলে ম্যাচের শেষ পর্বেএক গোলে ব্যাবধান বাড়িয়ে নেয় সবুজ-মেরুণ।বারবার আক্রমণে উঠে এলেও আজ মোহনবাগানের দূর্গভেদ করতে পারেননি আঙ্গুলোরা।ফলে শেষ পর্যন্ত খড়া কাটিয়ে ১-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নেয় সবুজ মেরুন।