দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ডনের শহরে ঐতিহাসিক গোলাপি টেস্টে পরাজয় হজম করতে হয়েছে ভারতকে। প্রথম ইনিংসের সুবাদে ৫৩ রানে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ক্রিকেটের ইতিহাসে লজ্জাজনক সর্বনিম্ন ৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। ফলে মাত্র ৮৯ রানের লিড নিয়েই চতুর্থ ইনিংসে বোলিং করতে নামতে হয় কোহলি ব্রিগেডকে। অজি ব্যাটসম্যানদের তেমন কোনো সমস্যা হয়নি ৯০ রান তুলে নিতে।জো বার্ন্সের অর্ধশতক এবং ম্যাথু ওয়েডের ৩৩ রানের দৌলতে ৮ উইকেটের সহজ জয় পকেটে পুরে নেয় তারা। কিন্তু ভারতের জন্য দুঃসংবাদ ছিল আরো অনেক বড়।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করার সময় হেজেলউডের বাউন্সার সোজা এসে আছড়ে পরে শামির কনুইয়ে। ফলে আহত হয় তার বোলিং হ্যান্ড। ব্যাটিংয়ের সময় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ থেকে তো তাকে বেরিয়ে যেতে হয়ই, এদিন তিনি আর ফিরতে পারেননি বোলিংয়ের জন্যেও। বোলিং হ্যান্ডের এই চোট মোহাম্মদ শামিকে কতদিন ভোগাবে তা অবশ্য এখনও অজানা। কিন্তু চোটের লক্ষণ দেখে মনে হয় আগামী টেস্টগুলিতে অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারেন তিনি। এদিকে পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে এই টেস্টের পর দেশে ফিরছেন বিরাট কোহলিও। যদিও রোহিত শর্মা পরের টেস্ট থেকেই দলে থাকছেন। কিন্তু বিরাট এবং শামির মতো দুই স্তম্ভ না থাকায় ভারতীয় ব্যাটিং এবং বোলিং যে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
দ্বিতীয় টেস্ট থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরছে ওয়ার্নার। তাই আরো অনেক বেশি শক্তিশালী হবে অস্ট্রেলিয়া। এখন এমতাবস্থায় ভারত আদৌ কামব্যাক করতে পারবে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে আছে সর্মথকরা। তবে কাজ যে অনেকটাই কঠিন এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। বিশেষত বিরাট কোহলি থাকার পরেও আজ দ্বিতীয় ইনিংসে যেরকম লজ্জাজনকভাবে ভেঙে পড়ে ইন্ডিয়ান ব্যাটিং লাইনআপ। তাতে অনেকেই মনে করছেন আগামী দিনগুলি ভারতীয় সমর্থকদের জন্য বয়ে নিয়ে আসতে পারে আরও বড় কোন দুঃস্বপ্ন।