দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ তৈরি হলো ইতিহাস। ৪৬ তম ক্লাব হিসাবে আইএফএ শিল্ড জিতে নিলো রিয়াল কাশ্মীর। চলতি প্রতিযোগিতাটি ছিল আইএফএ শিল্ডের ১২৩ তম সংস্করণ। ফাইনাল জয়ের সাথে সাথে প্রথমবার রিয়াল কাশ্মীরকে কোনও জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা জেতালেন দানিশরা। অনেক প্রতিকূলতার পর ইস্টবেঙ্গল, এটিকে মোহনবাগানের মতো শিল্ডের ইতিহাসে অন্যতম দুই সফল ক্লাবকে ছাড়াই আয়োজন করা হয়েছিল প্রতিযোগিতাটি। শেষ পর্যন্ত সফল ভাবে প্রতিযোগিতার আয়োজন সম্পন্ন করে খুশি আইএফএ-ও।
সেমিফাইনালে দুরন্ত ফর্মে থাকা মহামেডানকে হারিয়েছিল কাশ্মীর। জোসে হাভিয়ার দলকে এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী দল মনে করা হচ্ছিল। তাদের কে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিল মহামেডান। মহামেডান কে ৪-০ ফলে হারানোর পর বিশেষজ্ঞরা রিয়ালকেই সম্ভাব্য বিজয়ী ঘোষণা করে দিয়েছিল। শনিবার দুপুরে সেই আশঙ্কাকেই সত্যি প্রমাণ করলো রিয়াল কাশ্মীর।
এর আগে ১৯৪৬ সালে শিল্ডের ফাইনালে পৌঁছেছিল রিয়াল কাশ্মীর। কিন্তু ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের জন্য সেই ফাইনালটি আর আয়োজিত হয়নি। ৭ দশক পরে ফের ফাইনালে নেমেছিল কাশ্মীরের ক্লাবটি। যদিও জর্জ টেলিগ্রাফ লড়াই করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু লুকম্যান সেমিফাইনালে হ্যাটট্রিকের পর ফাইনালে ৩৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে গৌতম দাসের গোলে সমতায় ফেরে তারা। এরপর কাশ্মীরের ঘরের ছেলে দানিশের ফ্রি কিক থেকে গোল করে রিয়ালকে ফের এগিয়ে দেন ম্যাসন রবার্টসন। এরপর পুরোদমে আক্রমণ চালায় জর্জ টেলিগ্রাফ। ম্যাচের শেষ দিকে একটি পেনাল্টিও আদায় করে নেয় তারা। কিন্তু রিয়ালের গোলকিপার মিঠুন সামন্ত দুর্দান্তভাবে বাঁচিয়ে দেন সেই পেনাল্টিটি। শেষপর্যন্ত ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে আইএফএ শিল্ড জিতে নেয় লুকম্যানরা।