দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ নিজেদের প্রথম জয়ের লক্ষ্যে আজ মাঠে নেমেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। সামনে প্রতিপক্ষ ছিল গতবারের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন কোচ কিবু ভিকুনার কেরালা ব্লাস্টার্স। ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশে ছিল একাধিক পরিবর্তন। ভারতীয় স্ট্রাইকারদের ওপর ভরসা হারিয়েছেন রবি ফাওলার। তাই অ্যান্থনী পিলকিংটন ও জ্যাক ম্যাঘোমাকে দিয়ে আক্রমণভাগ সাজিয়েছিলেন তিনি। সবচেয়ে বড় চমক ছিল চোট সারিয়ে দলে অধিনায়ক ড্যানি ফক্সের প্রত্যাবর্তন। তার সাথে নেভিল ও শেহনাজকে দিয়ে ডিফেন্স সাজিয়েছিলেন রবি ফাওলার। সেই সঙ্গে চোট সারিয়ে সরাসরি প্রথম একাদশে জায়গা করে নিয়েছিলেন বিকাশ জায়রু। এছাড়াও প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন তোম্বা সিং।
ম্যাচের প্রথম থেকে আক্রমণ শানায় ইস্টবেঙ্গল। ৮ মিনিটে তোম্বা সিংয়ের দুর্দান্ত শট বাঁচায় কেরালা গোলরক্ষক অ্যালবিনো গোমস। ১৩ মিনিটে রফিকের ক্রস বাঁচাতে গিয়ে নিজের গোলে ঢুকিয়ে দেন বাঁকারী কোনে। তার ঠিক দু মিনিটের মধ্যে পিলকিংটনের শট বাঁচান গোমস। মাঝমাঠে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন রফিক এবং তোম্বা সিং। বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও দ্বিতীয় গোল করতে ব্যর্থ হয় ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে লাল হলুদ বাহিনী। ফক্স থাকায় ডিফেন্সে স্কট নেভিলকেও প্রথমার্ধে দেখিয়েছে আত্মবিশ্বাসী। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়েই ড্রেসিংরুমে ফেরে ইস্টবেঙ্গল। কেরালার ফাকুন্দো আবেল পেরেইরা ছাড়া কাউকে খুব একটা বিপজ্জনক দেখায়নি। মাঝমাঠে বার বার বাজে জায়গায় বল হাতছাড়া করেছে তারা। অপরদিকে রীতিমতো বিপজ্জনক দেখাচ্ছিল পিলকিংটন, ম্যাঘোমা ও স্টেইনম্যানকে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সাহাল আব্দুল সামাদকে নামায় কিবু ভিকুনা। এছাড়াও আরও দুটি পরিবর্তন হয় কেরালার একাদশে। তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করে বেশ কয়েকটি কর্ণার আদায় করে নেয় কেরালা। কিন্তু গোল আসেনি। উল্টোদিকে বার বার বিপজ্জনক ভাবে প্রতি-আক্রমণে উঠে আসছিলেন ম্যাঘোমা-স্টেইনম্যানরা। ৬২ মিনিটে খুব কাছাকাছি এসেও গোল করতে পরপর ব্যর্থ হন রফিক এবং স্টেইনম্যান। এরপর বাকি সময় বলের দখল নিয়ে নেয় কেরালা। ৮৬ মিনিটে দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন ম্যাঘোমা। হাজারটা সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। অতিরিক্ত সময়ের চার মিনিটে সামাদের ক্রস থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলের হাত থেকে দুই পয়েন্ট কেড়ে নিয়ে যায় জিকসন। এদিনও নিজেদের প্রথম জয় পেতে ব্যর্থ হয় লাল হলুদ শিবির।