দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্ট হারের পর অ্যাডিলেড থেকে এবার মেলবোর্ন যাবে টিম ইন্ডিয়া। অ্যাডিলেডের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে লজ্জাজনকভাবে অলআউট হয়ে যাবার পর ইতিমধ্যেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে ভারতীয় ব্যাটিং নিয়ে। তার উপর মেলবোর্ন টেস্টের আগেই দেশে ফিরে আসছেন বিরাট কোহলি। এখন পিতৃত্ব কালীন ছুটি নিয়ে তার দেশে ফিরে আসার পর তার পরিবর্তে ভারতের অধিনায়কত্ব করবেন অজিঙ্কা রাহানে। একদিকে যেমন দলের উপর রয়েছে প্রচণ্ড চাপ তেমনি অন্যদিকে অজিঙ্কা রাহানে ওপরও এই সময় মানসিক চাপ প্রবল।
গোলাপি বলের প্রথম ইনিংসে ভালো ফর্মে থাকলেও বিরাট কোহলিকে রান আউট করার কারণে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছেন রাহানে। এবার তার উপরে বড় চাপ রোহিত এবং বিরাটের অনুপস্থিতিতে তারুণ্যে ভরা ভারতীয় দলকে সামলানো। এই কথা মাথায় রেখেই অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানেকে পরামর্শ দিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট তারকা মোহাম্মদ কাইফ। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করে তিনি লেখেন, “ফোন সুইচ অফ করে দাও। বাইরে থেকে আসা সমস্ত আওয়াজ থেকে দূরে থাকো। জোট বদ্ধ হয়ে একটি দল হিসেবে আগের দিকে তাকাও। ভারতকে এই পরিস্থিতি থেকে বের করে আনার জন্য এটাই একমাত্র রাস্তা। অজিঙ্কা রাহানেকে এখন দলকে জোট বদ্ধ করে তার অধিনায়কত্বের দক্ষতা দেখাতে হবে।”
গত ম্যাচের লজ্জাজনক হারের পর এমনিতেই বিস্তর সমালোচনা শুরু হয়েছে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপকে নিয়ে। আর এই ধরনের সমালোচনায় মন দিলে খেলোয়াড়দের উপর অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি হবে বলেই মনে করছেন প্রাক্তন এই ক্রিকেট তারকা। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এই মুহূর্তে বাইরের সমস্ত সমালোচনা থেকে দূরে থাকতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে। মনোযোগ দিতে হবে নিজেদের খেলায়। আর সেই কারণেই দলকে এই পরামর্শ মোহাম্মদ কাইফের। তার এই পরামর্শকে কাজে লাগিয়ে ভারত কতটা কামব্যাক করতে পারে সেটাই এখন দেখার। তবে নিজেও বহুবার এইধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন মোহাম্মদ কাইফ। বিশ্বের সকল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লড়ছে যখন শচীন আউট হওয়ার পর প্যাভেলিয়ান থেকে ঘরের দিকে রওনা দিতে শুরু করেছিলেন দর্শকরা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন কাইফ এবং যুবরাজ। শেষ পর্যন্ত লর্ডসে ভারতকে ন্যাটওয়েস্ট ফাইনাল জিতে ছিলেন তারা। আর তখন তারাও ছিলেন যথেষ্ট তরুণ। সেই কারণে অস্ট্রেলিয়ায় বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের কামব্যাক করা মোটেই অসম্ভব নয়। তবে নিজেদের জোট বদ্ধ হতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে লক্ষ্যের দিকে। আর সে কথাই আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন কাইফ।