দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ক্রিকেট খেলাটি সঙ্গে সেই প্রাচীন আমল থেকে যে নামটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে তা হল স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। ব্র্যাডম্যানের মত ক্রিকেটকে এখনো বদলে দিতে পেরেছেন কতজন এ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এসেছেন শচীন, লারা, গাভাস্কার, বর্ডার, স্যার ভিভ রিচার্ডস থেকে শুরু করে সারি সারি বিখ্যাত সব নাম। কিন্তু ডনের সেই অমর কীর্তি এখনো ছুঁতে পারেনি কেউ। ক্রিকেটের নিয়ম খেলার ধরন সমস্ত কিছুতেই এসেছে নানান পরিবর্তন। টেস্ট ছাড়া অন্য ধরনের ক্রিকেটের নাম শোনেননি মানুষটি। এখন একদিনের ক্রিকেট পেরিয়ে চলে এসেছে টি-টোয়েন্টির জমানা। তবুও স্যার ডন ব্র্যাডম্যানকে এখনো ভুলতে পারিনি ক্রিকেটপ্রেমীরা।
সারা বিশ্ব এখনো তাকে একই রকম সম্মান করে। স্যার ডন নিজের প্রথম টেস্ট খেলেন ১৯২৮ সালে ৩০ নভেম্বর। এরপর মাত্র ৫২টি টেস্টে ৬,৬৯৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে ২৯ টি শতরান এবং ১৩ টি অর্ধশত রান। ব্যাটিং গড় ৯৯.৯৪। বাকি সব রেকর্ড ভেঙে গেছে ইতিহাসের চলার পথে। তার টেস্টের রান সংখ্যা শতরানের রেকর্ড সবই অতিক্রম করেছেন আগামী দিনের ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু কেউই ছুঁতে পারেননি তার এই অনবদ্য ব্যাটিং গড়কে। এখানেই ব্র্যাডম্যানের শ্রেষ্ঠত্ব। আজ সেই কিংবদন্তির অস্ট্রেলিয়া দলে অভিষেকের দিনের ব্যাগি গ্রীন টুপিটি নিলামে উঠলো। ভারতীয় মুদ্রায় তা বিক্রি হল ২ কোটি ৫২ লক্ষ টাকায়। ক্রিকেট সরঞ্জামের সর্বোচ্চ নিলাম মূল্যের তালিকায় এই টুপি এখন রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। বর্তমানে এই টুপির অধিকারী হলেন অস্ট্রেলিয়ার স্বনামধন্য ব্যবসায়ী পিটার ফ্রিডম্যান।
কিন্তু হঠাৎ এতদিন পর কেন নিলামে তোলা হলো স্যার ব্রাডম্যানের ব্যাগি গ্রীন? সূত্রের খবর অনুযায়ী ব্রিসবেনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেকের দিনে ব্যবহার করা এই ব্যাগি গ্রীন ডন দিয়ে যান তার পড়শী তথা বন্ধু পিটার ডনহ্যামকে।১০ লক্ষ ডলার প্রতারণার দায়ে চলতি বছরের মে মাসে ৮ বছরের জন্য জেলে যেতে হয় ডনহ্যামকে? এরপরই টুপিটি নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত সপ্তাহে চার লক্ষ ডলারের রিজার্ভ মূল্যে বিক্রি না হলেও আরো বেশি দামে তা কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পিটার ফ্রিডম্যান। এর আগে আরেক অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নের ব্যাগি গ্রীন বিক্রি হয় প্রায় দশ লক্ষ টাকায়।
পিটার ফ্রিডম্যান জানান,”স্যার ডন ব্র্যাডম্যান অস্ট্রেলিয়ার একজন কিংবদন্তি। আমি তার প্রথম টুপিটি কিনেছি। এনিয়ে আকর্ষণীয় পরিকল্পনাও রয়েছে আমার। এই ব্যাগি গ্রীন নিয়ে আমি সারা দেশে ভ্রমণ করতে চাই এবং এই বিশেষ স্মারক সমস্ত ক্রিকেট ভক্তদের সামনে তুলে ধরতে চাই।”