দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইএসএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জামশেদপুর এফসি-র মুখোমুখি হয়েছিল এফসি গোয়া। দুই দলেরই গোল করাটা টুর্নামেন্টে কখনো সমস্যা হয়ে দেখা যায়নি। ১০ জনে হয়েও মুম্বাইকে আটকে, নর্থইস্টকে টুর্নামেন্টের প্রথম হার উপহার দিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিল জামশেদপুর। কিন্তু নিজেদের শেষ দুটি ম্যাচে অল্পের জন্য হারতে হয়েছিল এফসি গোয়া-কে। এটিকে এবং চেন্নাইয়ানের কাছে হার তাদের আত্মবিশ্বাসে বেশ বড়সড় ধাক্কা দিয়েছিল। তাই সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে একটু হলেও এগিয়ে ছিল জামশেদপুর।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে খেলা জমা ওঠে। মাঝমাঠের দখল নেওয়ার জন্য লড়াই চলতে থাকে দুই দলের মধ্যে। গোয়ার ডিফেন্সে বার বার সমস্যা তৈরি করেছিলেন অনিকেত যাদব। ওদিকে স্টিভেন এজে এবং পিটার হার্টলে কড়া নজরে রাখছিলেন অর্তিজ, অ্যাঙ্গুলোদের। শেষপর্যন্ত ৩২ মিনিটে এইটর মনরয়ের ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত ফিনিশ করে জামশেদপুরকে এগিয়ে দেন এজে। চলতি মরশুমে এটি ছিল তার দ্বিতীয় গোল। এরপর চেষ্টা করেও জামশেদপুর ডিফেন্সকে ভাঙতে পারেনি গোয়া। প্রথমার্ধ ১-০ ফলেই শেষ হয় জামশেদপুরের পক্ষে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জামশেদপুরকে সামলাতে হিমশিম খায় গোয়া ডিফেন্স। অনিকেত যাদবের দুর্দান্ত শট বাঁচান মহম্মদ নওয়াজ। অপরদিকে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে সমতা ফেরানোর সুযোগ মিস করেন গোয়ার ইগর অ্যাঙ্গুলো। ৫৬ মিনিটে ফের অ্যাঙ্গুলোর শট বাঁচান রেহনেশ। ঠিক তার পরের মিনিটেই ভালস্কিসের শট বাঁচান নওয়াজ। কিন্তু এরপর ৬২ মিনিটে ডোনাচিকে বক্সের ভেতর ফাউল করায় পেনাল্টি পায় গোয়া। সমতা ফেরাতে ভুল করেননি অ্যাঙ্গুলো। ৬৯ মিনিটে ভালস্কিসের দুর্দান্ত ফ্রি-কিক পোস্টে লেগে ফেরে। তার পরেই নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলকে দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন এজে। ৮৭ মিনিটে বল আলেক্স ডি লিমার শট গোললাইন অতিক্রম করা সত্ত্বেও রেফারি গোল থেকে বঞ্চিত করে জামশেদপুরকে। ফল ভুগতে জয় জামশেদপুরকে। কারণ ম্যাচের শেষ সেকেন্ডে কর্নার থেকে গোল করে জয় ছিনিয়ে নিয়ে যায় গোয়া। দুর্দান্ত হেডে গোল করেন অ্যাঙ্গুলো। এরপর আর প্রত্যাঘাত করার সময় ছিল না ভালস্কিসদের। প্রতিযোগিতায় নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ জিতে নেয় গোয়া।