দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় টিসিএস রেসে নেমে সকলকে চমকে দিলেন অঙ্কিতা গৌর।রবিবার ব্যাঙ্গালুরুতে ১০ কিলোমিটার দৌড় তিনি শেষ করেন মাত্র ৬২ মিনিটে। গত ন বছর ধরে নিয়মিত দৌড়চ্ছেন অঙ্কিতা, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এই অ্যাথলেট এর আগেও অংশ নিয়েছেন টিসিএস ওয়ার্ল্ড ১০কে-তে। এছাড়া বার্লিনে দৌড়েছেন তিনবার। বেশ কয়েকবার দৌড়েছেন আন্তর্জাতিক ম্যারাথনে। তবে এবারের এই দৌড় ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে রেসের ময়দানের নামা সত্যিই কঠিন।
তবে অঙ্কিতা জানিয়েছেন চিকিৎসকদের পরামর্শ ছিল দৌড়োতে পারবেন তিনি তবে বেশি গতিতে নয়। অল্প গতিতে দৌড়ানো সন্তানের পক্ষেও ভালো। এই সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরেই আর কোনরকম দ্বিধা করেননি তিনি। গাইনোকোলজিস্ট এবং ফিজিওথেরাপিস্টদের পরামর্শমতো শুরু করে দেন ট্রেনিং। নিজেরই ট্রেনিং সম্পর্কে অঙ্কিতা বলেছেন,অঙ্কিতা বলেছেন, “প্রতিদিনই ৫-৮ কিমি দৌড়চ্ছিলাম ধীরে ধীরে। ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলেই ব্রেক নিয়ে দৌড়েছি। কারণ, এখন আমার শরীর আগের চেয়ে আলাদা। অতীতে টিসিএস ১০কে দৌড়ে পদক জিতেছি। কিন্তু এ বার তা পারিনি। কারণ বিশ্রাম নিয়ে দৌড়তে হয়েছে।”
হ্যাঁ পদক তিনি পাননি ঠিকই তবে চমকে দিতে পেরেছেন সকলকে। যে কোন অবস্থাতেই ইচ্ছা থাকলে উপায় বের করে নেওয়া যায় তা আরেকবার বুঝিয়ে দিলেন অঙ্কিতা গৌর।ব্যাঙ্গালোরের এই রেস শেষে দৌড়বিদ হিসাবে তিনি কখনও সকলের কতটা নজর কাড়বেন তা জানা নেই। কিন্তু বিরুদ্ধ পরিস্থিতিকে মানিয়ে নিয়ে নিজেকে আরেকবার তৈরি করাই যে খেলোয়াড়ি জীবনের লক্ষ্য তা আরো একবার প্রমান করে দিলেন তিনি।
এদিন অঙ্কিতা আরো বলেন, “প্রায় প্রতি দিনই এটা করে আসছি ৯ বছর ধরে। ঘুম থেকে উঠেই দৌড়তে চলে যাই। চোট পেলে বা শরীর ঠিক না থাকলেই একমাত্র দৌড়ই না। আমার কাছে এটা শ্বাস নেওয়ার মতো একেবারে সহজাত ব্যাপার। আর অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় দৌড়নো ভাল ব্যায়ামও। আমেরিকান কাউন্সিল অফ হেলথ জানিয়েও দিয়েছে যে একজন রানারের পক্ষে এটায় কোনও অসুবিধা নেই। অ্যাপ-সহায়ক এই রেস দারুণ উপভোগ করেছি।”