দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ জাতীয় নির্বাচক নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল বিসিসিআই। এমনও শোনা যাচ্ছিল দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন প্রাক্তন তারকা পেস বোলার অজিত আগারকার। বৃহস্পতিবার বার্ষিক সভাতেই তার নামের পাশে একরকম সীলমোহর পরার কথা ছিল। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে কিছুদিন আগেই বড়োসড়ো পরিবর্তন আনে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। প্রাক্তন ক্রিকেটার মদন লালের নেতৃত্বে গঠিত ক্রিকেট অ্যাডভাইজারী কমিটির পক্ষ থেকেই এবার নির্বাচিত হবেন জাতীয় নির্বাচকরা। ইতিমধ্যেই ওয়েস্ট জোনের নির্বাচক যতীন পরাঞ্জপে, ইস্ট জোনের দেবাং গান্ধী এবং নর্থ জোনের নির্বাচক সারণদ্বীপ সিংহের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই নতুন নির্বাচক কমিটিতে নির্বাচিত হওয়ার জন্য চারটি জোন থেকে মোট ১১ জন প্রতিনিধির নাম শর্টলিস্ট করা হয়েছিল।
আজ তাদের মধ্যে থেকেই ভারতীয় নির্বাচক কমিটির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে চেতন শর্মাকে বেছে নেন মদনলাল, সুনিল যোশি,হারবিন্দর সিংহের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট অ্যাডভাইজারী কমিটি। বাকি দুই সদস্য হিসেবে নির্বাচক কমিটির দলে এলেন দেবাশীষ মহান্তি এবং অ্যাবি কুরুভিল্লা। যদিও নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার ব্যাপারে এক সময় দৌড়ে ভালোভাবে এগিয়ে ছিলেন অজিত আগারকার। কিন্তু ভারতের হয়ে ২৩ টি টেস্ট এবং ৬৫ টি একদিনের ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করা চেতন শর্মাকেই এদিন বেছে নিল ক্রিকেট অ্যাডভাইজারী কমিটি। বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী বাকিদের থেকে বেশি টেস্ট খেলেছেন চেতন শর্মা আর সেই কারণেই চেয়ারম্যান হিসেবে আজ নির্বাচিত হলেন তিনি। হরিয়ানার হয়ে মাত্র ১৬ বছর বয়সেই নিজের ক্রিকেট জীবন শুরু করেন চেতন। ১৮ বছর বয়সে ভারতীয় দলে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। ১৯৮৭ বিশ্বকাপে করা তার সেই হ্যাটট্রিক এখনো স্মরণীয়।
এক বছর এই কমিটির কার্যকলাপ নিরীক্ষণ করে বোর্ডকে রিপোর্ট দেবে ক্রিকেট অ্যাডভাইজারী কমিটি। এদিন ইন্টারভিউতে পশ্চিমাঞ্চলের লড়াইয়ে অজিত আগারকার এবং নয়ন মঙ্গিয়াকে টেক্কা দিলেন কুরুভিল্লা। পূর্বাঞ্চলের দৌড়ে বাংলার রণদেব বসু এবং জাতীয় দলের সদস্য তথা সতীর্থ শিব সুন্দর দাসকে টেক্কা দিলেন মহান্তি। নর্থ জোন থেকে চেতন শর্মার লড়াই ছিল মনিন্দার সিং, বিজয় দাহিয়া, অজয় রাত্রা এবং নিখিল চোপড়ার বিরুদ্ধে। আগামী ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য দল নির্বাচন দিয়েই যাত্রা শুরু করবে এই নির্বাচক কমিটি।