দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ বিরাট না থাকায় টেস্টে ভারত হোয়াইটওয়াশ হবে একথা বলে আগেই মুখ খুলেছেন অনেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রীড়া বিশ্লেষক। যাদের মধ্যে রয়েছেন মার্ক ওয়া, শ্যেন ওয়ার্ন, এমনকি দলের কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। কয়েকদিন আগেই ল্যাঙ্গার মন্তব্য করেন, “বিরাট এবং শামী না থাকায় অনেকটা সুবিধা হয়ে যাবে আমাদের।”
তেমনি অস্ট্রেলিয়ান বিশ্বকাপজয়ী লেগ স্পিনার ওয়ার্ন বলেন, “শামি কিন্তু আমার দেখা অন্যতম সেরা ভারতীয় ফাস্ট বোলার। চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়াটা অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ভাল হয়েছে। শামি যে ধরনের বোলার,তাতে মেলবোর্নের উইকেটে ও বিধ্বংসী হতে পারত। ওঁর অভিজ্ঞতা মিস করবে ভারত।”
এপ্রসঙ্গে মুখ খুলে ছিলেন রিকি পন্টিং থেকে শুরু করে মার্ক ওয়া সকলেই। বিশেষত অ্যাডিলেডের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর আরো অনেক বেশি ভারতকে পিছিয়ে দিয়েছেন সকলেই। পন্টিং তো এও বলেন,এই বিপর্যয়ের পর আদৌ ভারত ফিরতে পারবে কিনা তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
তার ওপরে বিরাটের না থাকায় এই মুহূর্তে অনেকটাই ব্যাকফুটে ভারত। তাই তাদের দরকার এই মুহূর্তে একজোট হয়ে অস্ট্রেলিয়াকে তাদের শ্রেষ্ঠ লড়াইটা ফিরিয়ে দেওয়া। ভারতকে ইতিমধ্যেই পরামর্শ দিয়েছেন মোহাম্মদ কাইফের মত ক্রিকেট তারকারা। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা এবং ফোন বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন এই তারকা। এদিন এ বিষয়ে মুখ খুললেন লিটল মাস্টার শচীন টেন্ডুলকার। এই বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। শচীন বলেন,” রাহানে আগেও এই দায়িত্ব পালন করেছে। ঠান্ডা মাথার ক্রিকেটার। মুখে হয়ত বেশি কথা বলতে দেখবেন না, কিন্তু তার মানে ও বাকিদের থেকে কম লড়াকু সেটা নয়। পূজারার ক্ষেত্রেও তাই। এদের শরীরী ভাষা হয়ত আক্রমণাত্মক নয়, কিন্তু দু’জনের কেউই জেতার জন্য চেষ্টার ত্রুটি রাখবে না। অস্ট্রেলিয়াকে পাল্টা মার দিতে পারলে ওঁরা চাপে পড়তে বাধ্য। তবে আমিও মনে করি শামির না থাকাটা অবশ্যই বড় ক্ষতি।”