দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ একসময় ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলছে কিনা সেই চিন্তায় একসময় রাতের ঘুম উড়েছিল লাল হলুদ সমর্থকদের। আইএসএল খেলা নিশ্চিত হওয়ার পর সমর্থকদের একটাই দাবি ছিল। সেটা হল, আসন্ন মরশুম কোনওরকমে কাটিয়ে দিয়ে পরের মরশুমে পূর্ণশক্তি দিয়ে ট্রফির জন্য ঝাঁপানো। কিন্তু এরপর কোচ হয়ে আসেন রবি ফাওলার, সাথে আনেন তার বিশেষজ্ঞ কোচিং টিম-কে। আসে কয়েকজন নামি বিদেশি। ফলে সমর্থকদের মনে তৈরি হয় আশা। কিন্তু সেই আশাভঙ্গ হতে সময় লাগেনি। অতি অল্প সময়ের পরিকল্পনায় আইএসএলের মতো টুর্নামেন্টে সফল হওয়া সম্ভব নয়, তা ভালো করেই বুঝে গিয়েছেন সমর্থকরা। শোনা যাচ্ছে জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোতে বেশ কিছু ভারতীয় ফুটবলার অন্যান্য ক্লাব থেকে নিয়ে আসতে পারেন এসসি ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ফুটবলারের লাল-হলুদ শিবিরে মরশুমের মাঝপথে আসার সম্ভাবনা বেশি।
আদিল খান-
ইনার ব্যাপারে জানেন না এমন ফুটবলপ্রেমী খুঁজে পাওয়া মুশকিল। গতবছর ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে দেশের মানরক্ষা করা ডিফেন্ডার চলতি মরশুমে খেলছেন হায়দরাবাদের হয়ে। কিন্তু মাঠে নামার সুযোগ তিনি পাচ্ছেন না বললেই চলে। তাই ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্টের নজরে আছেন তিনি। বাকি মরসুম লাল-হলুদ জার্সি গায়ে তাকে আইএসএলে নামতে দেখলে আশ্চর্য হওয়ার নেই।
অঙ্কিত মুখার্জি-
এটিকে মোহনবাগানের এই তরুণ প্রতিভাবান উইং ব্যাক এই মুহূর্তে প্রথম একাদশ তো দূর, জায়গা পাচ্ছেন না সবুজ মেরুণ-দের বেঞ্চেও। হাবাসের হাতে যা বিকল্প তাতে হয়তো মরশুমের শেষ অবধি একটাও ম্যাচ খেলা হবে না তার। তাই ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্টের অনুমান তাকে নিয়ে এসে নিজেদের সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
রাহুল ভেকে-
চলতি মরশুমে বেঙ্গালুরু কোচ কুয়াদ্রাত আশিক কুরুনিয়ানকে তার জায়গায় খেলাচ্ছিলেন এবং রীতিমতো ভালো পারফরম্যান্স করছিল সেখানে আশিক। কিন্ত এখন তার চোট থাকায় ফের প্রথম একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন ভেকে। তবে আশিক সুস্থ হয়ে ফিরলে ফের বেঞ্চে বসতে হতে পারে তাকে। তাই তাকে একটি অফার অবশ্যই করে দেখবে ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু বেঙ্গালুরুর রাহুলকে ছাড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
লালডানমাইয়া রালতে-
একসময় লাল-হলুদ জনতার নয়নের মণি হয়ে উঠেছিলেন। তারপর ভালো অফার পেয়ে হায়দরাবাদে যোগ দেন। কিন্তু সেখানে চলতি মরশুমে একেবারেই খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। আরও একবার লাল হলুদ জার্সি গায়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে তার কোনও সমস্যা থাকবে বলে মনে করছে না ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট।