দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আইএসএলে আজ মুখোমুখি হয়েছিল বেঙ্গালুরু এবং জামশেদপুর এফসি। চলতি টুর্নামেন্টে দীর্ঘ সময় অবধি অপরাজিত ছিল বেঙ্গালুরু। তিনটি দুর্দান্ত জয়ের সাথে টুর্নামেন্টের শুরুতে ফর্মে না থাকলেও ধীরে ধীরে ফর্মে ফেরা অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী-কে দুর্দান্ত দেখাচ্ছিল। প্রতি ম্যাচে গোল করছিলেন তিনি। সব ঠিকই চলছিল, কিন্তু নিজেদের শেষ ম্যাচে কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল হার মেনেছে হাবাসের এটিকে মোহনবাগানের কাছে। ফলে ঘুচেছে অপরাজিত তকমা। অপরদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হারার পর এটিকে মোহনবাগান, মুম্বাই সিটি এফসি-র মতো দলকে রুখে দিয়েছিল জামশেদপুর। কিন্তু শেষ ম্যাচে তাদের হারতে হয়েছিল এফসি গোয়ার কাছে। তাই আজকের ম্যাচ তাদের কাছেও ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম থেকেই দুই দল আক্রমণাত্মক ভাবে শুরু করে। কয়েকটি সুযোগ পেয়েও অল্পের জন্য গোল করতে ব্যর্থ হন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ভালো কিছু আক্রমণ করেছিল জামশেদপুরও। কিন্তু কয়েকবার সুযোগ পেয়েও গোলে শট নিতে ব্যর্থ হন তাদের তারকা স্ট্রাইকার ভালস্কিস। ৩২ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও রেহনেশ-কে ফাঁকি দিতে ব্যর্থ হয় বেঙ্গালুরু। তার দু মিনিট পরেই দুর্দান্ত আক্রমণ থেকে অল্পের জন্য গোল করতে ব্যর্থ হন সুনীল ছেত্রী। এরপর কোনও দলই গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই প্রথম গোলের লক্ষ্যে ঝাঁপায়। কিন্তু দুই দলের ডিফেন্সই ছিল ফর্মে। ৬১ মিনিটে গুরপ্রীত দুর্দান্ত সেভে বেঙ্গালুরুর পতন রোধ করে। বার বার সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন ভালস্কিস। শেষপর্যন্ত অনিকেত যাদবের ক্রস থেকে ৭৯ মিনিটে টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় গোল করে জামশেদপুরকে এগিয়ে দেন স্টিফেন এজে। তবে তার ফিনিশের থেকেও বেশি সুন্দর ছিল অনিকেত যাদবের ক্রস। গোটা ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছেন এই তরুণ ভারতীয় উইঙ্গার। এরপর চাপ বাড়ায় বেঙ্গালুরু। ৮৪ মিনিটে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে জামশেদপুরকে বাঁচায় রেহনেশ। এরপর অনেক চেষ্টা করেও সমতা ফেরাতে পারেননি সুনীলরা। শেষপর্যন্ত ১-০ ফলেই ম্যাচ জিতে পয়েন্টস টেবিলে ৩ নম্বরে উঠে আসে জামশেদপুর। কিন্তু ম্যাচের শেষদিকে স্টিফেন এজের চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার ঘটনা চিন্তায় রাখবে জামশেদপুরকে।