দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ অ্যাডিলেডে লজ্জাজনক হারের পর মেলবোর্নে দুরন্ত বদলা নিয়েছে ভারত। ৮ উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে অজিঙ্কা রাহানের ইন্ডিয়া। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ২৭ রান করে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অজিঙ্কা নিজেই। একইভাবে কর্তৃত্ব বজায় রেখেছেন ভারতীয় বোলাররাও। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৫ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২০০ রানে অলআউট করে ব্যাটসম্যানদের কাজ অনেকটাই সহজ করে দিয়েছিল তারা। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে বল করার সময় চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান অন্যতম অভিজ্ঞ ভারতীয় জোরে বোলার উমেশ যাদব। কিন্তু এদিন তার অভাব বোধ করতে দেননি মোহাম্মদ সিরাজ, বুমরাহ, রবীচন্দ্রন অশ্বিন কিংবা জাদেজারা।
স্বাভাবিকভাবেই এই প্রদর্শনে খুশি কোচ রবি শাস্ত্রীও। সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে প্রথমেই তিনি শুভেচ্ছা জানান তরুণ অভিষেককারী দুই ভারতীয় ক্রিকেটারকে। তিনি বলেন, “দুজন ডেবিউ টান্ট যেরকম মানসিকতা, ডিসিপ্লিন এবং ক্যারেক্টার দেখিয়েছে তা বুঝিয়ে দেয় গত কয়েক বছর ধরে কি ধরনের ক্রিকেট আমরা খেলছি। সিরাজের প্রদর্শন সত্যিই অসাধারণ। দীর্ঘ সময় বল করার জন্য যে ধরনের ম্যাচিওরিটি এবং ডিসিপ্লিন ও দেখিয়েছে তা অনবদ্য। একবার আমরা উমেশকে হারানোর পর যা করা দরকার ছিল সেটাই করেছে। তারপর সম্মান যেভাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করেছে তাও ছিল অসাধারণ। ওরা ভীষণ ভালো মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে যা দেখে খুব ভালো লাগে।”
এদিনেই ঐতিহাসিক জয় প্রসঙ্গেও নিজের বক্তব্য পেশ করেন রবি শাস্ত্রী। তার মতে ভারতীয় ক্রিকেটে এই জয় একদমই উপরের দিকে থাকবে। তিনি বলেন,”এটা ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম একটি সেরা কামব্যাক। একবার ৩৬ রানে অলআউট হয়ে বিধ্বস্ত তিন দিন পর এভাবে ফিরে এসে বদলা নেওয়া সত্যিই কঠিন। ছেলেরা সত্যি সমস্ত কৃতিত্ব দাবি করে।”
আগামী দিনেও ভারত যে এই পাঁচ বোলার স্ট্র্যাটিজিতেই খেলবে তাও এদিন পরিষ্কার করে দেন কোচ। জাদেজার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন,” ও একজন প্রকৃত অলরাউন্ডার। আর সেই কারণেই পাঁচ নম্বর ছয় নম্বর যেকোনো জায়গাতেই ব্যাট করতে পারে। আর তাছাড়া একজন অতিরিক্ত বোলার হিসেবে অ্যাশের পাশাপাশি ও যেভাবে সামলায় তাও যথেষ্ট কার্যকরী। বিদেশে যে কেউ চোট প্রাপ্ত হতেই পারে সেই কারণেই ৫ জন বোলার থাকা একান্ত প্রয়োজন। আগামী দিনেও দল ৫ বোলারেই খেলবে।”
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অজিঙ্কা রাহানে এবং বিরাট কোহলির ক্যাপ্টেন্সি বিষয়েও মুখ খোলেন কোচ শাস্ত্রী। তিনি বলেন,” দুজনেই খেলাটা ভীষণ ভালো বোঝে। একদিকে বিরাট যেমন ভীষণ প্যাশনেট, অন্যদিকে অজিঙ্কা তেমনি শান্ত এবং স্থিতধী। এটাই তাদের দুজনের ক্যারেক্টার। বিরাট সবসময় আপনাকে মুখের মত জবাব দিতে প্রস্তুত। অন্যদিকে অজিঙ্কা চুপ করে থাকতে ভালোবাসে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে ও জানে ওকে কি করতে হবে।” এদিন রবি শাস্ত্রী পরিষ্কার করে দেন যে অ্যাডিলেডে ওই লজ্জাজনক হারের পর দলকে আদৌ কিছু বলার দরকার ছিলো না। তিনি বলেন তার কোন কথাই হয়নি দলের সঙ্গে।