দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ প্রায় দুই দশক পরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ ড্র করার নায়ক ছিলেন তিনি। হয়তো তার নেতৃত্ব মেলবোর্নে জিততে পারেনি ভারতীয় দল। তবে ২০০৩ সালের সেই মাইটি অস্ট্রেলিয়াকে অ্যাডিলেডে তাদের মাটিতে থামিয়ে দিয়ে সারা বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন মহারাজ। আজ হয়তো তিনি মাঠে নেই, কিন্তু প্রশাসক রূপে রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পদে। আর তার প্রশাসনায় অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্ট হেরেও মেলবোর্নে দুরন্ত জয় তুলে নিয়ে সিরিজে কামব্যাক করল ভারতীয় দল।
নেই বিরাট কোহলি, নেই মোহাম্মদ শামি, নেই ইশান্ত শর্মা, রোহিতরাও। এমনকি সেকেন্ড ইনিংসের বল করতে নেমে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছিল উমেশ যাদবকেও। কিন্তু মাঠে ছিলেন এক দুরন্ত অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। আর ছিল তার তারুণ্যে ভরা দল। চারদিনের একদিনও অস্ট্রেলিয়াকে মাথায় চেপে বসতে দেয়নি তারা। প্রতিটা দিন জিতে নিয়ে শেষ পর্যন্ত চতুর্থ দিনে লজ্জাজনক হারের ৮ উইকেটে বদলা নিয়েছে মেন ইন ব্লু। তারপর থেকে স্বাভাবিকভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চলেছে প্রশংসার বন্যা। প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্রীড়া বিশ্লেষক প্রত্যেকেই এই ঐতিহাসিক জয়ের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ভারতকে এবং সাথে সাথে অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানেকে। প্রথম ইনিংসে দুরন্ত সেঞ্চুরি তো বটেই দ্বিতীয় ইনিংসেও অপরাজিত ২৭ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি।
তারই অসামান্য কৃতিত্বের প্রশংসা করতে একটুও দেরি করলেন না বিসিসিআই প্রেসিডেন্টও। আজ নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে সৌরভ লেখেন, “এটা সত্যিই একটা স্পেশাল জয় এমসিজির ময়দানে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা অজিঙ্কা রাহানে, একজন ভালো মানুষ সব সময় নিজের কাজ প্রথম শেষ করেন। কনগ্রাচুলেশন্স জাদেজা এবং অশ্বিন, আগামী ম্যাচ গুলির জন্য তোমাদের সকলকে শুভেচ্ছা। “
স্বাভাবিকভাবেই এই দুরন্ত জয় খুশি সকলেই। ৮ উইকেটে জয় দিয়ে সিরিজে শুধু যে সমতা ফিরিয়েছে ভারত তা নয়, অস্ট্রেলিয়াকে দিয়েছে এক মুখের মত জবাব। এমনকি অধিনায়ক টিম পেইন পর্যন্ত নিজেদের প্রদর্শনে ভীষণরকম হতাশ। আগামী দিনগুলিতে এই আত্মবিশ্বাস সিরিজে আরো ভালো ফলাফল করতে নিশ্চয়ই সাহায্য করবে টিম ইন্ডিয়াকে। তাছাড়া পরের ম্যাচে ফিরে আসছেন রোহিত শর্মা। হনুমা বিহারি এক জায়গায় সম্ভবত ফিরতে পারেন কে এল রাহুলও। তাই ভারতীয় ব্যাটিং যে আরো অনেক বেশি শক্তিশালী হবে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তাই এই ম্যাচে জয় যে ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য।