দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ভারতীয় ক্রিকেটের এক অন্যতম বর্ণময় চরিত্র কিরনের বাসিন্দা শ্রীসান্থ। নিজের অধিনায়কত্ব কেরিয়ারের প্রায় শেষের দিকে ভারতীয় দলে তাকে সুযোগ দেন বর্তমান বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী। নিজেকে প্রমাণ করতে একটুও সময় নেননি শান্তাকুমারন শ্রীসান্থ। তারপর জীবনের বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছেন তিনি। একদিকে যেমন ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মিসবাহ-উল-হকের সেই অসাধারণ ক্যাচ ভুলতে পারবেনা কোন ক্রিকেটপ্রেমী। যেমন ভুলতে পারবেন না গিলক্রিস্ট কিংবা ম্যাথু হেডেনের স্ট্যাম্প ছিটকে দেওয়ার দৃশ্য গুলি তেমনি আবার ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে চলে যেতে হয়েছে কেরলের এই তারকাকে।
বল হালকা সিম এবং সুইং করলে কতখানি মারাত্মক বোলার ছিলেন শ্রীসান্থ, তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন সাউথ আফ্রিকায় ভারতের সেই বিরল টেস্ট জয়ের দিনে। সৌরভ গাঙ্গুলীর কামব্যাক সিরিজ হিসেবে ২০০৬ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বিবেচিত হলেও ভারতের জয়ে শ্রীসান্থের ভূমিকা ছিল অনবদ্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে অভিযুক্ত হবার পর ২০১৩ সালে তাকে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি দেয় বিসিসিআই। ঘরোয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই ব্যর্থ হয়ে যান এই কেরলিয়ান জোরে বোলার। এরপরই এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীসান্থ। দীর্ঘকালীন চলা এই মামলায় শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালে রায় ঘোষিত হয় শ্রীসান্থের পক্ষে। তার ওপর আজীবন নির্বাসন তুলে নেয় আদালত। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তাকে মাঠে ফেরার অনুমতি দিয়েছে বিসিসিআই
তারপর থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছেন ৩৬ বছর বয়সী এই জোরে বোলার। কিন্তু সুযোগ আসে নি। এতদিন পর শেষমেষ ঘুরল ভাগ্যের চাকা। আসন্ন মুস্তাক আলী ট্রফি জন্য দল ঘোষণা করেছে কেরল। ২৬ জনের সম্ভাব্য সেই দলে নাম রয়েছে শ্রীসান্থেরও। এবার শেষমেষ ২২ গজে আবার পা রাখতে পারবেন ব্রাত্য হয়ে যাওয়া এই ভারতীয় তারকা। শ্রীসান্থের সাথে দলে রয়েছেন সঞ্জু স্যামসন, শচীন বেবির মতো অন্যান্য দক্ষিণী তারকারাও।