দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ভারতীয় দলে ইতিমধ্যেই স্বপ্নের অভিষেক করেছেন দক্ষিণী ক্রিকেটার তথা ভারতীয় তারকা লক্ষ্মীপতি বালাজির সুযোগ্য শিষ্য টি নটরাজন। তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগ থেকেই তার উত্থান। তারপর যোগ দেওয়া আইপিএলে। মুস্তাফিজুর রহমান, বুমরাহদের পাশাপাশি স্যার একের পর এক সঠিক ইয়র্কার চমকে দিয়েছিল সকলকে। এবছর আইপিএলেও দুরন্ত শুরু করে সকলের চোখ টেনে নেন নটরাজন। ভারতীয় অন্যতম শ্রেষ্ঠ বোলিং তারকা বুমরাহের থেকেও এই বছরের আইপিএলে তার ইয়র্কারের পরিমাণ ছিল অনেকটাই বেশি। মূলত তাকে ইয়র্কার কিং বলে ডাকলেও ধীর গতির ডেলিভারি, সুইং সমস্ত কিছুতেই পারদর্শী বাঁহাতি এই মিডিয়াম পেস বোলার।
আইপিএলে এই দুরন্ত পারফরম্যান্সের পরেই ভারতীয় দলে সুযোগ পান নটরাজন। যদিও প্রথম কয়েক বছর সুযোগ আসেনি কিন্তু নীল জার্সি গায়ে তুলে নিতে তিনি যে অন্যতম যোগ্য ব্যক্তি তা তিনি প্রমাণ করে দেন প্রথম সুযোগেই। একদিনের ম্যাচ তো বটেই টি-টোয়েন্টিতেও যথেষ্ট ভালো বোলিং করেন নটরাজন। স্মিথ, ম্যাক্সওয়েল, ওয়েডের মতো তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলেছে তার বল। আর সেই কারণেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে ম্যান অব দ্যা সিরিজ হয় হার্দিক পান্ডিয়া নিজের ট্রফি তুলে দেন তার হাতে। স্পষ্টতই জানান তার চোখে ম্যান অব দ্যা সিরিজ একজনই তার নাম টি নটরাজন।
তবে জীবনের শুরুটা মোটেই সহজ ছিল না নটরাজনের পক্ষে। তার বাবা ছিলেন স্টেশনের একজন কুলি। বাবাকে সাহায্য করতে মাঝে মাঝে এই কাজ করতে হয়েছে নটরাজনকেও। তবে প্রথম থেকেই চোখে তার স্বপ্ন ছিল একদিন হাতিয়ার করবেন ক্রিকেটকে। অন্যান্য অনেক কিশোরের মতই মূলত টেনিস বলেই শুরু হয় তার খেলোয়াড়ী জীবন। সেখান থেকেই আস্তে আস্তে উঠে আসেন দক্ষিণী এই জোরে বোলার। ইতিমধ্যেই সমর্থকদের যথেষ্ট আকৃষ্ট করেছে তার এই জীবনের লড়াই। এবার দক্ষিণী সুপারস্টার ধানুশকেও আকৃষ্ট করল নটরাজনের জীবন। আর সেখান থেকেই আরে ক্রিকেটারের জীবনকথাকে দেখা যাবে রুপোলি পর্দায়।
দক্ষিণী ভাষায় তৈরি এই ছবিটির পরিচালনা করছেন সুধা কংরা। ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে ছবিটির ট্রেলার। সমর্থকদের মধ্যে তা নিয়ে উচ্ছ্বাসও রয়েছে যথেষ্ট। এর আগেও ক্রিকেট-বিষয়ক একাধিক তৈরি হয়েছে দক্ষিণী ভাষায়। “জার্সি”র মত বিগ বাজেট ছবিও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তাই আশা করা যায় নটরাজনের জীবনী সংক্রান্ত এই সিনেমাও দর্শকদের মন জয় করে নেবে। এর আগে “সচিন দ্য বিলিয়ন ড্রিমস” কিংবা “মহেন্দ্র সিং ধোনি দ্য আনটোল্ড স্টোরি”-এর মত ছবি গুলিকে যথেষ্ট মর্যাদা দিয়েছেন দর্শকরা। বেশ ভালোরকম বক্স অফিস হিটও করেছে কয়েকটি। তাই আশা করাই যায় সমর্থকদের কাছে একই রকম ভালোবাসা পাবেন নটরাজনও।